সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে এবার রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনার মুখে ভারত। প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানাল রাষ্ট্রসংঘ।
[মায়ানমারে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের]
সোমবার, জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের ৩৬তম সন্মেলন শুরু হয়। সন্মেলনের প্রথম দিনই প্রাধান্য পায় মায়ানমারে চলা রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ। ওই প্রসঙ্গেই ভারতের সমালোচনা করেন রাষ্ট্রসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস’ হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন। নয়াদিল্লির সমালোচনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর চলা বর্বর অত্যাচার ও গণহত্যার মধ্যে তাঁদের আশ্রয় না দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নারাজ কেন্দ্র। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে রোহিঙ্গাদের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেরই জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শরণার্থী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সই করেনি ভারত তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয় দিল্লি। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এদিন রিজিজুর বয়ানেরও সমালোচনা করেন আল হুসেইন। তাঁর বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে পারে না দিল্লি। ইচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যুর মুখে রোহিঙ্গাদের ঠেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কখনওই সমর্থন যোগ্য নয়।
শুধু রোহিঙ্গা সমস্যাই নয়, এদিন মোদি সরকারকে একাধিক বিষয়ে তুলোধোনা করেন রাষ্ট্রসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস’ হাই কমিশনার আল হুসেইন। তাঁর অভিযোগ, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। একই সঙ্গে পল্লা দিয়ে বাড়ছে গো-রক্ষকদের তাণ্ডবও। এছাড়া সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। কূটনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়ল দিল্লির উপর। সম্প্রতি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সু কি সরকারের পাশেই রয়েছে দিল্লি বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে রোহিঙ্গানিধন নিয়ে মৌন থাকায় সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
[ইজরায়েলের অস্ত্রেই রোহিঙ্গা জঙ্গি নিকেশ অভিযান মায়ানমারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.