ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগ্রাসী মনোভাবের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চিন। এবার বেজিংয়ের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে ‘মৌলিক অধিকার’ ও ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’ লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে তোপ দাগল রাষ্ট্রসংঘ।
UN independent experts have repeatedly communicated with the Government of the People’s Republic of China their alarm regarding the repression of fundamental freedoms in China: Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights pic.twitter.com/oOu5yyf2Td
— ANI (@ANI) June 26, 2020
শুক্রবার, ‘United Nations High Commissioner for Human Rights’-এর দপ্তর কড়া ভাষায় বেজিংয়ের সমালোচনা করে। বিশেষ করে হংকংয়ে শি জিনপিং প্রশাসনের দমন নীতি নিয়ে সরব হয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা মনে করেন, হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হাতিয়ার ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে বেজিং। এমনটা কাম্য নয়।
বলে রাখা ভাল, মে মাসেই হংকংয়ের (Hong Kong) জন্য নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন আনার কথা ঘোষণা করেছিল চিন। গত সপ্তাহে সেই আইনের রূপরেখা প্রকাশ করে বেজিং। এই আইন মোতাবেক, নতুন দপ্তর খোলা হবে হংকংয়ে। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিচারের জন্য হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম নতুন বিচারকও নিয়োগ করবেন খুব শীঘ্রই। ৬ সেপ্টেম্বর হংকংয়ে আইনসভার ভোট। তার আগেই নতুন আইন চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে হংকংয়ের উপর রাশ আর মজবুত করতে চলেছে চিন (China)। এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। যদিও চিনের দাবি, বিচ্ছিন্নতাবাদ, দেশদ্রোহ, সন্ত্রসাবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের হাত থেকে হংকংকে বাঁচাতেই এই নতুন আইন আনা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে হংকং নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বয়ানে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.