সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলল রাষ্ট্রসংঘ। জানিয়ে দিল এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১০০। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ঢাকার পরিস্থিতি।
রাষ্ট্রসংঘের (UN) মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক জানিয়েছেন, ”বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসায় বহু মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপরে হামলা উদ্বেগজনক এবং তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এই হামলার নিরপেক্ষ, সম্পূর্ণ ও যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।”
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বেসরকারি সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও সরকারি তরফে নির্দিষ্ট করে মৃতের সংখ্যা বলা হয়নি। অবস্থা শান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই। এই অবস্থায় আজ, শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কোটা মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার ছুটির দিন সত্ত্বেও চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ঝরেছে রক্ত। শনিবার ঢাকা মেট্রো স্টেশনেও আন্দোলনকারীদের আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে পুরো বাংলাদেশে (Bangladesh) কারফিউ জারি করে সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সংবাদমাধ্যম) ফারুক হোসেন ঘোষণা করেন যে, শুক্রবার দুপুর থেকেই পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।
এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে সেখানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে। তাঁরা চেষ্টা করছেন দেশে ফেরার। কেবল শুক্রবারই উত্তরপূর্বের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ফিরেছেন তিনশোর বেশি পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের বেশিরভাগই ডাক্তারির ছাত্রছাত্রী। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয়, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দার সংখ্যাই বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.