সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে। লড়াইয়ে শুরুর দিকে বেকায়দায় পড়লেও আমেরিকা ও ন্যাটোর মদতে পুতিন বাহিনীকে পালটা মার দিচ্ছে প্রাক্তন সোভিয়েত দেশটি। এবার রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন শহর উদ্ধার করতে প্রবল লড়াই শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনা। তাদের দাবি, শহরের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে রকেট হামলায় নিহত হয়েছে ৫২ রুশ সেনা।
ইউক্রেনের (Ukraine) দক্ষিণে অবস্থিত খেরসন শহর কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যুদ্ধের শুরুর দিকে কৃষ্ণসাগরের ওই বন্দর শহরটি দখল করে নেয় রুশ ফৌজ। রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার খেরসনের নোভা কাখোভকা অঞ্চলে রুশ ফৌজের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে রকেট হামলা চালানো হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫২ জন রুশ সেনার। তাদের একটি হাউৎজার কামান ও সাতটি সাঁজোয়া গাড়িও ধ্বংস হয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকার দেওয়া অত্যাধুনিক ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ ব্যবহার করে রুশ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যে নিখুঁত ভাবে অগ্নিবৃষ্টি করতে সক্ষম এই ভয়াবহ অস্ত্রটি।
এদিকে, ইউক্রেনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া (Russia)। খেরসনের মস্কোপন্থী প্রশাসন জানিয়েছে, রকেট হামলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন। অস্ত্রভাণ্ডারে নয়, ইউক্রেনের ছোঁড়া ওই রকেটগুলি আম নাগরিকের বাড়িতে আছড়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরের একটি রাসায়নিকের গোদামে ইউক্রেনের ছোঁড়া রকেট আছড়ে পড়ে। সেখানে সার অথবা বারুদ তৈরির রাসায়নিক থাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও দ্রুত ষেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। লড়াইয়ের শুরুর দিকেই কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর খেরসন দখল করে নেয় রুশ ফৌজ। তারপর শহরটি ফের দখল করতে ফের লড়াই শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত মাসে রাশিয়ার হাত থেকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড উদ্ধার করে ইউক্রেনের সেনা। কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড। কারণ, ইউক্রেনের (Ukraine) ওডেসা বন্দরে অবরোধ জারি রাখতে এই হলে এই ঘাঁটি দখলে থাকা দরকার। এছাড়া, কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের পথে নজরদারি চালাতেও স্নেক আইল্যান্ডে ঘাঁটি থাকা দরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.