ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা (Russia-Ukraine War) শুরু করে রাশিয়া (Russia)। পালটা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে প্রত্যাঘাত হানে ইউক্রেনীয় ফৌজ। তখনই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছেন এক ইউক্রেনীয় পাইলট। শুরু থেকেই এভাবে টানা প্রত্যাঘাত চালিয়ে গিয়েছে কিয়েভের সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে পুতিন যে চাপের মুখে রয়েছেন তা স্পষ্ট। এই চাপ নিঃসন্দেহে আরও বাড়ল খারকিভের (Kharkiv) যুদ্ধেও ইউক্রেন জিতে যাওয়ায়। ইতিমধ্যেই সেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে সমগ্র ইউক্রেন ছেড়ে আপাতত পূর্ব ইউক্রেনকে নিজেদের দখলে আনতে যে নীল নকশা তৈরি করেছিল রাশিয়া, তা বিশ বাঁও জলে। মারিওপোলে সাফল্য এলেও বাকিটা স্রেফ ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু পায়নি মস্কো। এবার তারা হাল ছাড়ল খারকিভ থেকেও।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয়রা হামলাকারীদের রুখতে সর্বোচ্চ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলি ও অন্য়ান্য মিত্রদেশের সমর্থনও যে দরকার, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় রীতিমতো হুমকির সুরে কথা বলতে গিয়েছে পুতিনকে। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুই দেশ ন্যাটোয় যোগ দিলে তার ফল ভাল হবে না। যদিও এই দুই দেশের পাশেই দাঁড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলি। এর মধ্যেই খারকিভে রুশ সেনার পিছু হটার ঘটনায় রাশিয়ার উপরে যে চাপ আরও বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই।
এদিকে, ইউক্রেনে হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বেলারুশ সেনাপ্রধান জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলেভিচ। তাঁর বক্তব্য, দু’দেশের সঙ্ঘাতের মাঝখানে আমেরিকা এবং ন্যাটো দেশগুলি ইউক্রেনের সীমান্তে তাদের সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। তাতে লাগাম টানতেই বেলারুশ সরকার ইউক্রেন সীমান্তে বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করছে। ওই পদক্ষেপ অনেকটাই সাবধানী হওয়ার জন্য। সরাসরি আক্রমণ বা সংঘাতের উদ্দেশ্যে নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.