সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপোড়েনে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। যদিও বুধবার থেকে রুশ (Russia) সেনা প্রত্যাহারের খবর মেলার পর থেকে মিলেছে স্বস্তি। যদিও আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, ইউক্রেনের (Ukraine) দাবি, ‘হাইব্রিড ওয়ার’ ইতিমধ্য়েই শুরু করে দিয়েছেন পুতিনের দেশ। বৃহত্তম সাইবার হানার কবলে পড়েছে ইউক্রেন। আর এই কাণ্ডে সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে। মনে করা হচ্ছে, তারাই রয়েছে এই হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে।
ইউক্রেন জুড়ে অচল হয়ে গিয়েছে বহু এটিএম। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এর ফলে সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে আতান্তরে। একে তো যুদ্ধের আশঙ্কা। তার মধ্য়েই বিপদের সময়ে হাতে টাকা মজুত রাখতে না পারার ব্যর্থতা। এদিকে ইউক্রেনের সরকারি ওয়েবসাইটও কাজ করছে না। বহু ব্যাংক মূল সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখতে পারছে না। তার ফলে সব মিলিয়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি বেশ খারাপ।
রাশিয়া সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও অত্যন্ত সতর্ক ইউক্রেন। এই বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির বক্তব্য, “রাশিয়া ফৌজ সরিয়ে নিচ্ছে বলে আমার শুনেছি কিন্তু তেমন কিছু আমাদের চোখে পড়েনি।” ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গও দাবি করেছেন যে রুশ ফৌজ সরে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিন শীর্ষ মার্কিন অধিকারিকদের উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফৌজ সরানোর যে দাবি রাশিয়া করছে তা মিথ্যা। শুধু তাই নয়, সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে মস্কো বলেও দাবি করেছেন এক মার্কিন আধিকারিক। এই বিষয়ে বুধবার অর্থাৎ গতকাল জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দু’জনেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে দ্রুত রুশ ফৌজ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.