সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারিতে যখন ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাশিয়া (Russia), তখন অনেকেই ভেবেছিলেন পুতিনের কিয়েভ বিজয় কেবলই সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার ঠিক উলটো। প্রায় ৯ মাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও যুদ্ধজয়ের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি মস্কো। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশই কোণঠাসা হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি আর খুব বেশিদিন মসনদে নেই। তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে রুশ প্রশাসন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দপ্তরের গোয়েন্দা সূত্রের।
ঠিক কী দাবি কিয়েভের? মেজর জেনারেল কার্লো বুদানভের দাবি, রুশ প্রশাসন জোরকদমে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে পুতিনকে দেশের প্রশাসনিক শীর্ষপদ থেকে সরাতে। তাঁর কথায়, ”মনে হয় না উনি আর টিকতে পারবেন। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় ওঁকে সরিয়ে কাকে সেখানে বসানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।”
এরই পাশাপাশি বুদানভের আরও দাবি, নভেম্বরের মধ্যেই খার্সন পুনর্দখল করবে ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকী, ক্রিমিয়া দখল করতেও পুরোদস্তুর ঝাঁপাবে তারা। আর এভাবেই যুদ্ধ পুরোপুরি নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসবে ইউক্রেন।
পুতিনের অপসারণ নিয়ে ইউক্রেনের দাবি সঠিক কিনা, তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে এই সম্ভাবনাকে যে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, সেব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে টানাপোড়েন চলছে। রুশ এলিট শ্রেণির একাংশ এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। কারণ, এতে তাঁদের প্রবল বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনে লাগাতার ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় প্রশাসন যদি শীর্ষপদে বদল আনার কথা ভাবে তবে তা নেহাতই অপ্রাসঙ্গিক হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.