Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian students

অভিবাসন নীতির গেরোয় মিলছে না ভিসা! রেকর্ড হারে ব্রিটেনে কমছে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা

ব্রিটেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের স্পনসরড স্টাডি ভিসা দেওয়ায় ২৩ শতাংশ পতন ঘটেছে।

UK visa for Indian students drop by 23% amid stricter rules

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 23, 2024 5:22 pm
  • Updated:August 23, 2024 6:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতীয় পড়ুয়াদের অন্যতম পছন্দ ব্রিটেন। প্রত্যেক বছর সেদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান বহু ছাত্রছাত্রী। কিন্তু ব্রিটেনের কঠোর অভিবাসন নীতির জেরে এবার ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে সেদেশে। বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসাদের দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম এনেছে কিয়ের স্টারমারের সরকার। যে কারণে ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের
স্পনসরড স্টাডি ভিসা দেওয়ায় ২৩ শতাংশ পতন ঘটেছে।

এক রিপোর্ট মোতাবেক, গত বছর ব্রিটেনে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে স্পনসরড স্টাডি ভিসা দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের জুন মাস সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৬ জন। অর্থাৎ প্রায় ৩৩ হাজার পড়ুয়াকে ভিসা দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রেকর্ড হারে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ব্রিটেনে। পাশাপাশি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে অভিবাসীদের সংখ্যাও। ফলে কড়াকড়ি করা হয়েছে অভিবাসন নীতিতে। পড়ুয়া-সহ বিদেশিদের ব্রিটিশ ভিসা পেতে পড়তে হচ্ছে কঠিন নিয়মের গেরোয়। যার জেরে চলতি বছরে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীই আর ব্রিটেনে পা রাখেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নেপালে নদীতে পড়ল ভারতীয় পর্যটকবোঝাই বাস, মৃত অন্তত ১৪

তবে শুধু ভারতীয় নয়, ব্রিটেনে ভিসা প্রদান কমে গিয়েছে নাইজেরিয়ার পড়ুয়াদেরও। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ৪৬% হারে হ্রাস ঘটেছে নাইজেরিয়ান ছাত্রছাত্রীদের ভিসায়। কিন্তু, রাজার দেশে থাকা পড়ুয়াদের নিরিখে নাইজেরিয়াকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান। বিগত বছরে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকায় প্রথমে ছিল ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান। কিন্তু এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইসলামাবাদ।

উল্লেখ্য, সরকারের অভিবাসন নীতির জন্য ব্রিটিশদের মধ্যে খুবই ক্ষোভ রয়েছে। তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান-সহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে অভিবাসীদের চাপের কারণে বিপাকে পড়তে হয়েছে সেদেশের মানুষকে। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতিতেও। দাম বেড়েছে জিনিসপত্রের। যে কারণে রোষের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। চলতি বছরের নির্বাচনে তাঁর গদিচ্যুত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে অনেকে এই অভিবাসন নীতিকেও মনে করেন। এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। ক্ষমতায় এসে তিনি অভিবাসন নীতি নিয়ে বেশ কিছু কড়াকড়ি করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement