সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হয়েছেন বরিস জনসন (Boris Johnson)। কিছুক্ষণের মধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা করবেন তিনি, এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে। ইতিমধ্যে জনসনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের ৪০ মন্ত্রী। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের চাপে ইস্তফা দেওয়ার পথেই হাঁটলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটেনের (Britain) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আপাতত কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বরিসই। সবমিলিয়ে বিলেতের রাজনীতিতে চরম ডামাডোল চলছে।
British media say UK Prime Minister Boris Johnson has agreed to resign: The Associated Press pic.twitter.com/tzISv6CSso
— ANI (@ANI) July 7, 2022
সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। পরিস্থিতি জটিল করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ ও অর্থ দপ্তরের প্রধান ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়। এপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চল্লিশ জন মন্ত্রী। সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই অবস্থা চললে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ত। ফলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না। এদিন সকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে নারাজ ছিলেন বরিস। অবশেষে দলের অন্দরের চাপে মাথা নোয়ালেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন । কিন্তু গত দু’বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি খেয়েছেন ক্রিস পিনচার ইস্যুতে। ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার (Chris Pincher) নামে এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেসময়। এমন একজনকে কেন প্রশাসনে আনা হল, তার জবাবে জনসন কার্যত দায়সারাভাবেই জানিয়েছিলেন, পিনচার সম্পর্কে এসব তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু পরে সরকারি এক মুখপাত্রই জানান যে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা অসত্য। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.