Advertisement
Advertisement

Breaking News

UK MP

‘সঙ্গে অস্ত্র আছে?’, আপত্তিকর প্রশ্ন বিমানবন্দরে, নাম নিয়ে হেনস্তার শিকার ব্রিটিশ MP ইয়াসিন

কানাডার 'অযথা ইসলাম ভীতি'র কড়া সমালোচনা ব্রিটিশ সংসদে।

UK MP Md. Yasin claims he was stopped from boarding flight bound to Canada over his name | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 26, 2023 12:41 pm
  • Updated:October 26, 2023 12:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামের জেরে এবার বিপাকে ব্রিটেনের খোদ সংসদ (British MP) সদস্য! মহম্মদ ইয়াসিন নামে ব্রিটিশ এমপির অভিযোগ, কানাডা সফরে যাওয়ার সময় নামের জেরে দুটি বিমানবন্দরে তাঁকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। আপত্তিকর প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কানাডা (Canada) সফর সেরে দেশে ফিরেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি। অবশ্য বিমান সংস্থার তরফে পালটা দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। তবে নামের জেরে এমন বিড়ম্বনায় পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি ইয়াসিনের। তাই তাঁর ক্ষোভ চাপা রইল না।

গত সপ্তাহের লেবার পার্টির MP মহম্মদ ইয়াসিন ও আরও কয়েকজন সদস্য কানাডা যাচ্ছিলেন। হিথরো (Heathrow) বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর নিয়মমাফিক দেহ পরীক্ষা করা হয় তাঁদের। দেখা হয় কাগজপত্রও। কিন্তু ইয়াসিনের ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয় এখানে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার পরও বিমান সংস্থা এয়ার কানাডার (Air Canada) অফিসাররা তাঁকে প্রশ্ন করেন, সঙ্গে ছুরি কিংবা অন্য কোনও অস্ত্র আছে কি না। ফেরার পথে টরেন্টো বিমানবন্দরেও তাঁকে একই প্রশ্ন করা হয়। শেষমেশ তিনি ব্রিটেনের এমপি, সেই পরিচয়পত্র দেখানোর পর বিমানে ওঠার ছাড়পত্র মেলে।

Advertisement

এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ইয়াসিন। তাঁর অভিযোগ, তিনি মুসলিম বলেই বিমানবন্দরে এভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হল। ব্রিটিশ এমপি এও বলেন, ”অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপমানজনক পরিস্থিতি। যেখানে আমি একটা দলের সঙ্গে বিদেশে যাচ্ছি, সেখানে আমি একা সন্দেহভাজন। এমপি বলে আলাদা কোনও সুবিধা আমি কখনও প্রত্যাশা করি না। কিন্তু এটাই ভাবাচ্ছে যে ব্রিটিশ আইনসভার এমন গুরুত্বপূ্র্ণ সদস্য হয়েও যদিও আমাকে এই হেনস্তার মধ্যে পড়তে হয়, না জানি, সাধারণ মানুষ এই নাম নিয়ে কতটা অপমানিত হন।”

মহম্মদ ইয়াসিনের সঙ্গে এয়ার কানাডার এই আচরণের জল গড়িয়েছে বহু দূর। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আরেক এমপি ক্লাইভ বেটস। তাঁর প্রস্তাব ছিল, ব্রিটেনে কানাডা দূতাবাসে চিঠি লিখে এর তীব্র নিন্দা করা হোক। জানানো হোক যে কানাডার এই অযথা ‘ইসলাম ভীতি’ (Islamophobia) একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত একজন এমপি যেখানে সরকারি কাজে গিয়েছেন। এত সব কাণ্ডের পর অবশ্য এয়ার কানাডা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। তবে এই ঘটনা যে যথেষ্ট তোলপাড় ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement