সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সমালোচনা করেছিলেন ব্রিটিশ সাংসদ ডেবি আব্রাহাম। তারপরই তাঁর ই-বিজনেস ভিসা বাতিল করে দেয় নয়াদিল্লি।শুধু তাই নয়, নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। এবার ভারতের দাবড়ানি খেয়ে লেবার পার্টির সেই সাংসদ ছুটে গিয়েছেন পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভারতে প্রবেশ করতে না পেরে পাকিস্তান রওনা দেন ডেবি আব্রাহাম। তারপর ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাশ্মীর গ্রুপের প্রধান তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর লেবার পার্টির ওই সাংসদ বলেন, “আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাই। এই মর্মে আমরা ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব পাইনি। তবে ভারত বিমুখ হলেও কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল নিরপেক্ষ। তাঁরা পাকিস্তানপন্থী বা ভারত বিরোধী নয়। প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে কাশ্মীর নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডেবি আব্রাহাম। ওই অনুষ্ঠানে লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মহম্মদ নফিস জাকারিয়া ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খান।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন ব্রিটিশ এমপি ডেবি আব্রাহাম।। সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর তাঁর ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ব্রিটেন ফেরত পাঠাতে প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয় ডিপোর্ট রুমে।
সরকারি সূত্রে খবর, ‘ভারত বিরোধী’ কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ডেবি আব্রাহাম। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর ই-বিজনেস ভিসার মেয়াদ। তবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পশ্চিমের সংবাদমধ্যমে সমালোচনার জবাবে সরকার সাফ জানিয়েছে, কাউকে ভিসা দেওয়া বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.