সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও জটিল হয়ে উঠল পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া। এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আরজি জানাতে পারবেন পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম এই অভিযুক্ত। সোমবার এমনটাই রায় দেয় ব্রিটিশ হাই কোর্ট।
পিএনবি-সহ ভারতের একাধিক ব্যাংকে জালিয়াতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন নীরব মোদি। একইভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসিও। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে। তারপর থেকেই ব্রিটেনের মুখ্য সচিবের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল ভারত। পরবর্তীতে সেই অনুমতিও মেলে। গত ১৫ এপ্রিল ব্রিটেনের মুখ্যসচিব প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের চুক্তিতে সই করেন। তারপরই কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত এই অলঙ্কার ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আশা দেখছিল ভারত। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডন হাই কোর্টে নীরবের কৌশলী চাল সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে।
সোমবার লন্ডন হাই কোর্টে নীরবের আইনজীবীরা প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি পেশ করেন। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভিযুক্তের ‘মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি’, ‘আত্মহত্যার প্রবণতা’ ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়। আদালতে বেশ কিছুক্ষণ সওয়াল জবাবের পর করোনা মহামারী ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কথা মাথায় রেখে বিচারপতি জাস্টিস মার্টিন চেম্বারলিন বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হচ্ছে এসব তর্কের ভিত্তিতে মামলাকারীর যুক্তির কী ভিত্তি রয়েছে? আমার মনে হচ্ছে রয়েছে। তাই নীরব মোদির আপিল করার আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে।” বিশ্লেষকদের মতে, আইনি জটিলতা তৈরি করে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে চাইছেন নীরব। আর এবার তাঁর সেই চাল সফল হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.