গণভবনে আগুন বিক্ষোভকারীদের
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী হয়েছিল বাংলাদেশে, রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি ব্রিটেনের। সেদেশের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি বলেন,”গত দুসপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে হিংসা চলছে। তাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। জারি হয়েছে সেনাশাসন। এই পরিস্থিতিতে হিংসা রুখতে প্রত্যেকের মিলেমিশে থাকা প্রয়োজন। কেন বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা ঘটল, রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রবিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। আন্দোলনের আগুন কার্যত দাবানলে পরিণত হয়। সোমবার তা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করেই বাংলাদেশ ছাড়েন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ ছেড়ে বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন মুজিবকন্যা। সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে খবর, গাজিয়াবাদে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘সুপার স্পাই’ অজিত ডোভাল সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সঙ্গে। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় বলেই খবর। পরিস্থিতি দেখে বিষয়টি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। রিপোর্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন হাসিনা। যদিও সংবাদসংস্থা PTI সূত্রে খবর, হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করেছে ব্রিটেন।
এদিকে, শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে আন্দোলনকারীদের একাংশ সেখান থেকে লেপ, কাঁথা, বালিশ ও চেয়ার থেকে শুরু করে টেবিল ফ্যান, চেয়ার, সোফাসেট, কম্বল, জলের ফিল্টার, মাইক্রোওভেন লুট করে পালায়। এমনকী, বাসভবন থেকে মুগরি, পায়রা এমনকী ফ্রিজ খুলে মাছ-মাংস নিয়েও চম্পট দেয় তারা। ঘড়ি, রাউটার, কাগজ, কম্পিউটার, এসি, ফ্রিজ কিছুই বাদ যায়নি। অনেকে গণভবনের জলাশয়ে জাল ফেলে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় গণভবনের বিভিন্ন ঘর ভাঙচুর করা হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.