সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনে ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা। উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। যুক্তরাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ৩২ হাজার মানুষ। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে ইটালিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে ব্রিটেন। গোটা ইউরোপে এখনও পর্যন্ত একক কোনও দেশে করোনার জেরে এত বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়নি।
চিন থেকে ইউরোপে আসার পর ইটালি ও স্পেন হয়ে উঠেছিল করোনার ভরকেন্দ্র। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল যে রোজই হু হু করে বাড়ছিল মৃতের সংখ্যা। কিন্তু বেশ কিছুদিন হল স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে শুরু করেছে স্পেন। ইটালিও সেই পথেই এগোচ্ছে। যদিও লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সংক্রমণ বাড়ছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি। কিন্তু ব্রিটেনে করোনা যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইটালিতে এখনও পর্যন্ত করোনায় ২৯ হাজার ৭৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩২ হাজার। ইউরোপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ব্রিটেনেই।
বিদেশ সচিব ডোমিনিক রাব এটিকে ‘বড়সড় ট্র্যাজেডি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না এই মহামারি শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত দেশগুলি কী অবস্থায় আছে তা বোঝা যাবে। বিশেষত যতদিন না এই পরিস্থিতি শেষ হবে, ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে আন্তর্জাতিক তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যাবে না।” করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ব্রিটেন করোনার শীর্ষ স্থান অতিক্রম করে ফেলেছে। আশা করা হয়েছিল, এবার হয়তো স্বাভাবিক হবে ব্রিটেন। কিন্তু এখনই যে তা সম্ভব নয়, মৃতের সংখ্যাই সেকথা বলে দিচ্ছে।
এই সপ্তাহ থেকে ব্রিটেনের কোথাও কোথাও লকডাউন শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরিস্থিতিতে যদি ব্রিটেন লকডাউন শিথিল করে তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। বিশেষ করে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রাণহানী ঘটবে বেশি। এদিকে লকডাউনের প্রভাবে ইতিমধ্যে অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্রিটেনে। মনে করা হচ্ছে ব্রিটেনের জিজিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। হেয়ারড্রেসার এবং ক্যাফেগুলির ইতিমধ্যে প্রায় 79 শতাংশ ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.