সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে রাজি ব্রিটেন। তবে এই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন অ্যাসাঞ্জ বলে খবর। আবেদনের জন্য চোদ্দ দিন সময় পাবেন তিনি। জনসন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছে তাঁর সংগঠন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতার প্রত্যর্পণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে অ্যাসাঞ্জকে আমেরিকায় ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল ব্রিটেনের আদালত। ব্রিটেনের বিদেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,অ্যাসঞ্জের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিপীড়নমূলক হতে পারে, এমনটা মনে করে না ব্রিটেনের আদালত। প্রত্যর্পণ করলে তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না।
ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের (Julian Assange) স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ। তিনি বলেন, “আজ লড়াইয়ের শেষ নয়। এটি একটি নতুন আইনি লড়াইয়ের শুরু মাত্র। মিডিয়ার স্বাধীনতা এবং ব্রিটিশ গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার দিন। জুলিয়ান কিছু ভুল করেননি। তিনি কোনও অপরাধ করেননি এবং তিনি অপরাধী নন। তিনি একজন সাংবাদিক এবং একজন প্রকাশক এবং তার কাজ করার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, মার্কিন ফৌজ ও গুপ্তচর সংস্থার বেশ কয়েকটি গোপন নথি ফাঁস করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে অপহরণ করে খুনের ছক কষেছিল সিআইএ। উইকিলিক্স-এ বাগদাদে মার্কিন ফৌজের অভিযান ও আফগানিস্তানে আমেরিকার কীর্তিকলাপ সংক্রান্ত একর পর এক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ফলে ২০১৭ সালে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে তাঁকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। জানা যায়, বেশ কয়েকবছর ধরেই সিআইএ-র রাডারে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তবে ‘Vault 7’ নামের মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার ‘হ্যাকিং টুলস’-এর অত্যন্ত সংবেদনশীল খবর ফাঁস করতেই তাঁকে খতম করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.