সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় হাই কমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় হামলা চালায় একদল পাকিস্তানি ও খলিস্তান সমর্থক। সেই সময় দূতাবাসে মজুত ভারতীয়দের ইট, বোতল ছুঁড়ে হামলা চালায় তারা।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়ানক সমস্যা চলছে’, কাশ্মীর ইস্যুতে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের]
ব্রেক্সিট ডামাডোলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনসন। ফলে এমনিতেই তাঁর উপর চাপ রয়েছে। এহেন অবস্থায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই তাঁর কাছে জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রথম আলাপচারিতায় হিংসার ঘটনা রোখার বিষয়ে জনসনের সঙ্গে আলোচনা করেন নমো। কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পরদিনই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মোদি। পাকিস্তানি ও খালিস্তানিদের যে বিক্ষোভ হিংসার রূপ নেয় ও যার জেরে ভারতীয় হাই কমিশনের বিল্ডিং-কে টার্গেট করা হয়, তাতে নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তান থেকে লন্ডন গিয়েছিলেন ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুলফি বুখারি।
আলোচনায় একে অপরকে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সন্ত্রাস দমনের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দিয়ে জনসনকে মোদি বলেন, ‘ভারত ও ইউরোপ-সহ বিশ্বের সর্বত্র সন্ত্রাস থাবা বসিয়েছে। কট্টরপন্থা, হিংসা ও অসহিষ্ণুতার হুমকি এবং বিশেষত আইএস-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’ সব মিলিয়ে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনায় দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইসলামাবাদ। কাশ্মীরে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে এবং জম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করেছে। ভারতের এই পদক্ষপকে একতরফা আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইসিজে-তে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খান সরকার।
[আরও পড়ুন: সত্যি হল আশঙ্কা, অস্ত্র প্রতিযোগিতার ডঙ্কা বাজিয়ে মিসাইল ছুঁড়ল আমেরিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.