সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার তালিবান (Taliban) কাবুলে (kabul) প্রবেশ করার পরই ক্ষমতা হস্তান্তরের বৈঠক সেরে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani)। তখন থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় যেতে পারেন তিনি? বা বলা ভাল, কোন দেশ শেষ পর্যন্ত আশ্রয় দেবে তাঁকে? শোনা যাচ্ছিল, তাজিকিস্তান কিংবা ওমানে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু তাজিকিস্তান স্থান দেননি তাঁকে। এরপর তাঁর ওমানে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত ঘানি আশ্রয় নিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বুধবার আমিরশাহীর তরফে এই খবররের সত্যতা সম্পর্কে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সেদেশের কোন শহরে রয়েছেন তা জানানো হয়নি। যদিও কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের দাবি, তিনি রাজধানী আবু ধাবিতে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আমিরশাহীর প্রশাসন জানিয়েছে, আশরফ ঘানি ও তাঁর পরিবারকে মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে তারা। তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে আমিরশাহীতে। রবিবার দেশ ছাড়ার সময় ঘানি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি রক্তপাত চান না। তাই দেশ ছাড়ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব।
এদিকে তাজিকিস্তানে অবস্থিত আফগান দূতাবাস ঘানির গ্রেপ্তারি চেয়ে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে। দেশের ধনসম্পদ লুঠ করে পালানোর অভিযোগ রয়েছে প্রৌঢ় আফগান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই দূতাবাসের দেওয়াল থেকে ঘানির ছবি সরিয়ে সেই জায়গায় আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ-র ছবি লাগানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সালেহ দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে তিনিই দেশের ‘কেয়ারটেকার’ প্রেসিডেন্ট। তিনি আশ্রয় নিয়েছেন পঞ্জশির উপত্যকায়। ওই স্থানে তালিবানের তেমন আধিপত্য নেই।
ঠিক কী অভিযোগ ঘানির বিরুদ্ধে? কেবল তাজিকিস্তানই নয়, কাবুলে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসও একই অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ভরতি করে নগদ টাকা সঙ্গে নিয়েই দেশ ছেড়েছেন ঘানি। যদিও সব টাকা তাতে তোলা যায়নি। বাকি টাকা মাটিতে ফেলেই তিনি পালিয়ে যান বলে দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.