Advertisement
Advertisement

Breaking News

থাইল্যান্ড

ভোজনরসিকদের মন ভাঙার শাস্তি, ৭২৩ বছরের জেল হল রেস্তরাঁর দুই মালিকের

কী এমন অপরাধ করল তারা?

two owners of a Thai restaurant sentenced to 723 years in jail
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 13, 2020 1:52 pm
  • Updated:June 13, 2020 1:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামুদ্রিক মাছ সহযোগে সুস্বাদু বুফের টোপ দিয়ে ক্রেতাদের থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে বিরাট শাস্তির মুখে পড়ল একটি রেস্তরাঁর দুই মালিক। ৭২৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল তাদের!

বিশ্বাস করা কঠিন। তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে থাইল্যান্ডে। বিষয়টা তাহলে একটু খোলসা করে বলা যাক। লিমগেট ইনফাইনাইট রেস্তরাঁর দুই মালিক অ্যাপিচার্ট বওয়নব্যানচারাক এবং প্রপাসর্ন বাওয়ার্নব্যান। বেশ কয়েকদিন ধরে তারা ক্রেতাদের হাতে একটি করে ভাউচার তুলে দিচ্ছিল। যেখানে লেখা, অত্যন্ত কম খরচে সি-ফুডের বুফে উপভোগ করতে পারবেন ভোজনরসিকরা। নিঃসন্দেহে জিভে জল আনা অফার। তবে এ স্বাদের অংশীদার হতে গেলে অগ্রিম অর্থ দিতে হবে ক্রেতাদের। এই ছিল নিয়ম। মাত্র ৮৮ ভাট অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২১৫ টাকা দিলেই সেই ভাউচার পাবেন ক্রেতারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: OMG! করোনামুক্ত এই শহরে মাত্র ৮৫ টাকায় মিলছে আস্ত একটি বাড়ি!]

ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় এই লোভনীয় অফারের খবর। এমন আকর্ষণীয় বুফের স্বাদ পেতে প্রায় ২০ হাজার ক্রেতা সেই ভাউচার অগ্রিম মূল্যে কিনে ফেলে। যার সৌজন্যে রেস্তরাঁর মালিকের হাতে চলে আসে ৫০ মিলিয়ন থাই ভাট। আনুমানিক ১২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার ভাউচার বিক্রি হয়!

কিন্তু কোথায় বুফে? কোথায় সেই জিভে জল আনা এলাহি আয়োজন? এত সি-ফুডের জোগাড়ই করে উঠতে পারল না রেস্তরাঁ। প্রথম দিকে কিছু ক্রেতা এই ভাউচার কাজে লাগিয়ে বুফেতে খাবার পেলেও পরের হাজার-হাজার ক্রেতাদের ভাগ্যের শিকে আর ছেঁড়েনি। অগ্রিম টাকা দিয়েও খাবার না পাওয়ায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রেস্তরাঁর দুই মালিকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন ক্রেতারা। চাপের মুখে নতিশিকার করে মালিকরা। জানায়, ভাউচারের অর্থ ফেরত দিতে তারা রাজি। ৩৭৫ জন ক্রেতা টাকা ফেরতও। কিন্তু বাকিদের অর্থ ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয় দুই মালিক। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।

[আরও পড়ুন: একেই বলে ভাগ্য, বিহারে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল দুটি হাতি! কীভাবে জানেন?]

সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে তোলা হলে প্রথমে ১ হাজার ৪৪৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পরে দুই মালিক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় জেল হেফাজতের মেয়াদ অর্ধেক করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রায় সাড়ে ৪৪ লক্ষ টাকা জরিমানাও গুনতে হচ্ছে দুই অভিযুক্তকে। ভোজনরসিকদের মন ভাঙার মূল্য যে কতখানি, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে রেস্তরাঁর দুই মালিক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement