Advertisement
Advertisement

Breaking News

জাকির নায়েক

সাম্প্রদায়িক উসকানির জের, জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ করল মালয়েশিয়ার একাধিক প্রদেশ

বিতর্কিত এই ইসলাম ধর্মপ্রচারককে নিষিদ্ধ করেছে মালয়েশিয়ার মোট আটটি প্রদেশ৷

Two more states in Malaysia ban Zakir Naik from speaking in public
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 19, 2019 8:18 pm
  • Updated:August 19, 2019 9:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  চাপ বাড়ল বিতর্কিত ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের৷ বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে আগেই সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা জাকিরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী৷ তার ভাষণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মালয়েশিয়ার ছ’টি প্রদেশ৷ এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও দুই প্রদেশ মালাক্কা ও কেধা৷

[ আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, জাকির নায়েকের কোনও রকমের ভাষণ, জনসভা ও টেলিভিশন শো সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এই দুটি প্রদেশ৷ আগেই যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মালয়েশিয়ার সাবাহ, পেনাঙ্গ, পেরলিস, সারউইক-সহ ছ’টি প্রদেশ৷ যদিও এই নিষেধাজ্ঞাকে খুব স্বাভাবিক বিষয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ কারণ, একদিন আগেই নাকি এই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মহাথীর মহম্মদের বক্তব্যে৷ হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও ধরনের উসকানিমূলক কাজকর্ম বরদাস্ত করবে না সরকার৷ কেউ দেশে সাম্প্রদায়িক অস্তিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে, তা কড়া হাতে প্রতিহত করা হবে। এমনকী, কীভাবে সেদেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব জোগাড় করল নায়েক, তাও খতিয়ে দেখা হবে জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী৷ মহাথীর মহম্মদ বলেন, ‘‘একজন ধর্মীয় গুরুর যা করা উচিত, উনি তা করছেন না৷ বরং চিনাকে চিনে এবং ভারতীয়কে ভারতে পাঠানোর কথা বলছেন উনি৷’’

[ আরও পড়ুন: শিয়রে ব্রেক্সিটের বিপদ! শীঘ্রই জ্বালানি, খাদ্য, ওষুধ সংকটের আশঙ্কায় কাঁটা ব্রিটিশরা ]

প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য পেশ করায় দিন কয়েক আগেই জাকিরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার দাবি তুলেছিলেন মালয়েশিয়ার মানব-সম্পদ মন্ত্রী৷ বিতর্কিত এই ইসলাম ধর্মপ্রচারকের সভা বন্ধ করে মালয়েশিয়া পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকি দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ওয়াসিন৷ ঘটনার সূত্রপাত মালয়েশিয়ার কোটাবারুতে৷ সেখানে একটি সভায় ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুদের তুলনা টানে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত ওই ধর্মপ্রচারক। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘ভারতে মুসলমানরদের তুলনায় মালয়েশিয়ায় হিন্দুরা দ্বিগুণ সুযোগ-সুবিধা পায়। এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথীর মহম্মদের তুলনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেশি অনুগত এখানকার হিন্দুরা।’’ তার এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে সরব হয় সকলে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement