ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন করেছেন ঠিকই তবে প্রত্যেকের অনুমতি নিয়ে। তাই খুনির মোটেই ফাঁসি হওয়া উচিৎ নয়। বড়জোর বছর সাতেকের জেল হতে পারে। আদালতে দাঁড়িয়ে আসামীর আইনজীবীর এমন দাবি শুনে হকচকিয়ে গিয়েছেন বিচারকরা। জাপানের এই ‘টুইটার’ খুনির (Twitter Killer) আইনজীবীর বক্তব্য আপাতত ভাইরাল।
জাপানের এই টুইটার কিলারের নাম তাকাহিরো শিরাইশি। বয়স মোটে ২৯ বছর। তাঁর আইনজীবীর দাবি, টুইটারে অনেকে আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন, তাকাহিরো বেছে বেছে তাঁদেরই খুন করেছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের চার্জ লঘু করা উচিত। গত বুধবারই টুইটার কিলার স্বীকার করে নেয়, তিনি টুইটারে যোগাযোগ করে মোট ন’জনকে খুন করেছে।
খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিনব উপায় বেছে নিত তাকাহিরো। দেহগুলিকে টুকরো টুকরো করে কাটত। তারপর কুলবক্সে ভরে বাড়িতেই রেখে দিত সেগুলি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাবে সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি তাকাহিরো। দিন কয়েক আগেই এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে তাকাহিরো বলেছে, “ভাবতেই পারিনি ধরা পড়ে যাব।” গর্ব করে টুইটার কিলারের দাবি, প্রথম আটটি খুন করার সময় কেউ আমাকে সন্দেহই করেনি। কিন্তু কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।
তিন বছর আগে ২৩ বছর বয়সী এক মহিলা টুইটারে লেখেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চান। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। মহিলার ভাই সেই টুইটারে খোঁজ করে সন্দেহজনক এক ব্যক্তির খোঁজ পান। তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই তাকাহিরোর সন্ধান পায়। ২০১৭ সালে হ্যালোইনের রাতে তার বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। ঢুকেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ। দেখে, কুলবক্সে ভরে সাজানো রয়েছে দেহগুলি। আদালতে তার বিরুদ্ধে ন’টি খুনের অভিযোগ আনা হলে প্রতিবাদ করেনি তাকাহিরো।
তদন্তে জানা গিয়েছে, তাকাহিরোর শিকার ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা। তিনি টুইটারে খুঁজে দেখতেন, কারা আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাদের বলতেন, আমি আপনাকে মরতে সাহায্য করব। কাউকে বলতেন, আমিও আপনার সঙ্গে আত্মহত্যা করতে চাই। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আছে।
অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকাহিরোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু তার আইনজীবীর দাবি, তাকাহিরো খুনের আগে অনুমতি নিয়েছিল, তাই তার বড়জোর ছয় মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও এক সক্ষাৎকারে তাকাহিরো জানিয়েছিল, “আমি কারও কাছে অনুমতি নিইনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.