Advertisement
Advertisement

প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট ‘হাইড’ করল টুইটার

‘হিংসাকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে’ এমন যুক্তি দেখিয়ে ওই টুইট ‘হাইড’ করে টুইটার।

Twitter 'hides' Donald Trumps tweet for 'instigating' violence

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 30, 2020 4:14 pm
  • Updated:May 30, 2020 4:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ‌্য দ্বন্দ্বে এবার ট্রাম্প আর টুইটার। মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা টুইট পেজ থেকে ‘হাইড’ করল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। ‘হিংসাকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে’ এমন যুক্তি দেখিয়ে ওই টুইট ‘হাইড’ করে টুইটার।

[আরও পড়ুন: লকডাউন তুললে বিপদের আশঙ্কা, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা]

বৃহস্পতিবার ইমেল-ব্যালট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ট্রাম্পের দু’টি টুইটের সঙ্গে ‘ফ‌্যাক্ট চেক’ জুড়ে দেওয়ার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ‌্য লড়াই শুরু হয় টুইটার সিইও জ‌্যাক ডরসির। সঙ্গে এমন কয়েকটি লিঙ্ক দেওয়া হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভিন্ন মতামতও জানতে পারেন আমজনতা। এরই মাঝে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধে যখন ট্রাম্পের টুইট ‘হাইড’ করে তারা।

Advertisement

জাল ব্যাংক নোট ব‌্যবহার করছেন এমন সন্দেহে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব‌্যক্তিকে ধরা হলে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে মিনেসোটায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা ঘিরে মিনেসোটায় তুমুল বিক্ষোভ হয়। ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ট্রাম্প মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে-কে বিষয়টি ঘিরে অভিযুক্ত করেন। টুইটে লেখেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আমেরিকায় মিনিয়াপোলিসের মতো বড় একটি শহরে এমন ঘটনা আমি সমর্থন করতে পারি না। হয় মেয়র জ্যাকব ফ্রে নিজে পরিস্থিতি সামলান, না হলে আমি জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী পাঠিয়ে ব‌্যবস্থা নেব।’ যাঁরা দাঙ্গা করছেন, তাঁরা মৃত ব‌্যক্তির প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধাও জানাচ্ছেন না বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। টুইটার কর্তৃপক্ষ টুইটটিকে সরিয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ এটি টুইটারের সাধারণ ব‌্যবহারবিধি ভঙ্গ করেছে এবং হিংসাকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে এই মন্তব‌্যের ফলে।

বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে শুক্রবারই ফ্লয়েডের সঙ্গে যে পুলিশ কর্মীর ছবি প্রকাশ‌্যে এসেছিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন আগে প্রকাশ‌্যে আসা ছবিতে ফ্লয়েডের গলায় ওই পুলিশ কর্মীর হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার দৃশ‌্য ধরা পড়ে। এমনকী, ফ্লয়েডকে ‘মরে যাব’ বলে চিৎকার করতেও শোনা যায় ভিডিওতে। পরে বিষয়টি ঘিরে জটিলতা তৈরি হতে শুক্রবারই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সোশ‌্যাল মিডিয়াগুলির স্বাধীনতার ডানা ছেঁটে দেওয়া বিষয়ে আইনি রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস। এবং তার ঠিক পরেই এই ঘটনা ঘিরে আরও জটিলতা বাড়ল। তবে এই ঘটনা ঘিরে ট্রাম্পের সঙ্গে টুইটারের দ্বন্দ্বই প্রকাশ‌্যে চলে এল তা সকলেই মনে করছে।

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ, WHO’র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement