সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার ঘটনার পরে পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ তাঁর ফেসবুকও (Facebook)। কিন্তু এতদিন ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) যখন লাগাতার ভিত্তিহীন দাবি করে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে সেভাবে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি দুই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। এই নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস।
উইকিপিডিয়ার (Wikipedia) কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে মুখ খোলেন জিমি। দাবি করেন, গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে যা হয়েছে তার একশো শতাংশ দায়ই নিতে হবে ট্রাম্পকে। সেই সঙ্গেই টুইটার, ফেসবুককেও কাঠগড়ায় তুলতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প বহুদিন ধরেই অমূলক ও ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ। ট্রাম্পের এই সব আচরণকে ঠিকমতো সামলাতে পারেনি সোশ্যাল মিডিয়ার দুই শীর্ষ সংস্থা। তাঁর কথায়, ”ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সেভাবে পদক্ষেপ করতে পারেনি ওরা। অথচ এটা পরিষ্কার ছিল, ট্রাম্প ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছিলেন। মানুষকে উস্কানিও দিচ্ছিলেন।”
ট্রাম্পপন্থীদের হামলার ক্ষেত্রে টুইটারকে ব্যবহার করেই হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে কখনও ফেসবুক ও টুইটারের মতো অভিযোগ ওঠেনি। ২০০৩ সালেই উইকিপিডিয়াকে অলাভজনক সাইট হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই কোনও আঙুল ওঠেনি তাঁদের সংস্থার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি উলটো পথে হেঁটেই বিপদে পড়তে হয়েছে ফেসবুক ও টুইটারকে। এমনই মত তাঁর। পাশাপাশি ৫৪ বছরের জিমি জানাচ্ছেন, ”ওদের বিজনেস মডেলটাই এমন, যত বেশি সম্ভব পেজ ভিউ চাই। আর এটা করতে গিয়ে ওদের নিজেদের ব্র্যান্ডেরই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এবার এটা ওদের নিজেদেরই সামলাতে হবে। এটুকু বলতে পারি, কাজটা কঠিন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.