সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিম মহিলাকে (Uighur Women) নিয়ে ‘বিতর্কিত’ টুইট করার জের। আমেরিকায় থাকা চিনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার। এমনকী, তাদের টুইটটিও হাইড করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শপথগ্রহণের পর বিডেন কিংবা প্রশাসনের কেউ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চিনের ইউঘুর উপর অত্যাচার নিয়ে বরাবর সরব হয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের আমলে সেই বিরোধিতা আরও বেড়েছিল। এবার সেই সম্প্রদায়ের মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে চিনা দূতাবাসের কর্মীরাও।
দিন কয়েক আগে আমেরিকার চিনা দূতাবাসের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, উইঘুর মহিলারা এখন আর শুধু সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র নয়। এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট চিনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, উইঘুর সম্প্রদায়ের মহি্লারা জিনপিংয়ের আমলে আরও স্বাধীন এবং স্বনির্ভর। আগে তাঁদের সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র মনে করত ওই সম্প্রদায়ের পুরুষরা। এখন এই পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে টুইট করা হয় দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপরই অ্যাকাউন্টটি সাময়িক ব্লক করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, উইঘুর সম্প্রদায়কে অপমান করা হয়েছে।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের দাবি, তাঁদের নিয়মবিধি মানা হয়নি। এধরনের অমানবিক আচরণকে টুইটার সমর্থন করে না। তাই অ্যাকাউন্টটি ব্লক করা হল। টুইটারের মুখপাত্র জানান, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।
বহু দেশই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, সেখানে উইঘুর মুসলিমদের প্রবল নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অতিমারীর সময় এই অত্যাচার আরও বেড়েছে। অসংখ্য উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। দেশের একদম পশ্চিমে অবস্থিত উইঘুর অধ্যুষিত এই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের উপর অত্যাচারের কাহিনি শুনে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তারপরও কোনও হেলদোল নেই শি জিনপিংয়ের সরকারের। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.