সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমালিয়ায় (Somalia) জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল অন্তত ১০০ জনের। জোড়া বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন তিনশোরও বেশি মানুষ। সেদেশের প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদ এই জঙ্গি হামলার কথা টুইট করে জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। প্রসঙ্গত,আগস্ট মাসেই একটি হোটেলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল এই আল শাবাব (Al-Shabab) জঙ্গি গোষ্ঠী।
শনিবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে শিক্ষামন্ত্রকের অফিসের সামনে বিস্ফোরণ (Somalia Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, দু’টি গাড়ির মধ্যে বোমা রাখা ছিল। দিনের ব্যস্ত সময়ে পরিকল্পনা করেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই অন্তত একশো জনের মৃত্যু হয়। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তেই পারে। ইতিমধ্যেই গুরুতর জখম হয়েছেন ৩০০ জন। আহতদের জন্য সবরকম সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
এই ঘটনা সোমালিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম জঙ্গি হামলা। তবে এত মানুষের মৃত্যু হলে সাধারণত হামলার দায় স্বীকার করে না সেদেশের ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব। সেই জন্যই শনিবার বিস্ফোরণ হওয়ার পরে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি জঙ্গি সংগঠনের তরফ থেকে। তবে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মাহমুদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে আল শাবাবই। তিনি বলেছেন, “সাধারণ মানুষের উপরে এহেন নৃশংস আঘাত করে আমাদের দমিয়ে দিতে পারবে না আল শাবাব। আমরা লড়াই করে এই জঙ্গিদের উচ্ছেদ করে থামব।”
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর মোগাদিশুর এই অঞ্চলেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই হামলায়। সোমালিয়ার বৃহত্তম জঙ্গি হামলা হিসাবে আজও সেই ঘটনাকে মনে রেখেছেন সেদেশের মানুষ। মর্মান্তিক সেই ঘটনার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না। আর হত্যালীলা চালানোর সুযোগ পাবে না ওরা।” প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসেই ২৬/১১র ধাঁচে সোমালিয়ার একটি হোটেলে হামলা চালিয়েছিল আল শাবাব জঙ্গিরা। সেই সময়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবারের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.