সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকলকে চমকে দিয়ে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোয় যোগদান করার সবুজ সংকেত দিয়েছিল তুরস্ক (Turkey)। কিন্তু সম্মতির চুক্তিপত্রে সই করার কিছুদিনের মধ্যেই ফের বেঁকে বসল আঙ্কারা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোয়ান জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজন হলে ন্যাটোয় যোগদানের পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সামরিক জোটে অংশ নিতে হলে তুরস্কের কিছু শর্তাবলি মানতে হবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারেই রাশিয়া ওবং ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসবে তুরস্ক।
সোমবার এর্ডোয়ান জানিয়েছেন, “সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের শর্ত মানতে হবে উত্তর ইউরোপের দুই দেশকে। যদি তা না হয় তাহলে যোগদানের প্রক্রিয়া থামিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষত, এই বিষয়ে সুইডেনের (Sweden) অবস্থান নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে।” প্রসঙ্গত, তুরস্কের অন্দরে কুর্দিশদের সমর্থন করার অভিযোগ তোলা হয় উত্তর ইউরোপের দুই দেশের বিরুদ্ধে। কুর্দিশদের জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছে তুরস্কের সরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই ন্যাটোয় (NATO) যোগ দিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে সুইডেন আবং ফিনল্যান্ড। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় গোড়া থেকেই বাধা দিতে থাকে তুরস্ক। প্রয়োজনে ভেটো দিয়ে যোগদান আটকানোর কথাও জানানো হয়। জুন মাসের শেষের দিকে ন্যাটো সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, ফিনল্যান্ড (Finland) এবং সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিলে অমত নেই তুরস্কের। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে বৈঠক করেছিলেন তিন দেশের প্রতিনিধিরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দুই দেশের যোগদান প্রসঙ্গে আপত্তি তুলে নেবে তুরস্ক। এই মর্মে মেমোরেন্ডাম সই করেন তিন দেশের বিদেশমন্ত্রী। ন্যাটোর তরফ থেকেও বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানানো হয়।
এর্ডোয়ানের মন্তব্য নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেনি আমেরিকা। তবে ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে, “ন্যাটোয় যোগদানের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেমোরেন্ডাম সই করেছে তিন দেশ। তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যতটা সম্ভব সুষ্ঠু ভাবে যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই আমরা।” অন্যদিকে, মঙ্গলবার তেহেরানে বৈঠকে বসবে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্ক। মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়ায় আক্রমণ চালানো নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.