সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তুরস্ক। একটি কয়লা খনিতে হওয়া বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। অভিঘাতে জমি ধসে বেরনোর পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাটির গভীরে এখনও আটকে রয়েছেন অনেকেই।
বিবিসি সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ তুরস্কের উত্তরে বার্তিন প্রদেশের একটি খনিতে বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ওই খনিতে প্রায় ১১০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। অর্ধেকই খনিটির প্রায় ৩০০ মিটার গভীরে কর্মরত ছিলেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। অভিঘাতে জমি ধসে বেরনোর পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাটির গভীরে এখনও আটকে রয়েছেন অনেকেই। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কোকা জানিয়েছেন দ্রুত উদ্ধার কাজ চলছে। এপর্যন্ত ১১ জন শ্রমিককে ওই খনি থেকে বের করে আনা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
উদ্ধারকর্মীরা রাত থেকেই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষ্ণসাগরের উপকূলে আমাসরা এলাকায় অবস্থিত ওই খনি থেকে যাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় যারা এখনও নিখোঁজ তাঁদের পরিবারের লোকজন খনি এলাকায় ভিড় জমিয়েছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সৌলু জানিয়েছেন, খনির ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার গভীর অংশটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেখানে প্রায় ৪৯ জনের মতো শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছতে পারেননি।
কী কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তুরস্কের (Turkey) শক্তিমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খনিগর্ভে জমে থাকা মিথেন গ্যাসের ভাণ্ডারে জন্যই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমাসরার মেয়র রেসাই সাকির জানিয়েছেন, যাঁরা এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে আছেন তাঁদের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.