সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার বেনজির নির্বাচন পরবর্তী হিংসার সাক্ষী থাকল আমেরিকা। ট্রামপন্থীদের তাণ্ডবে উত্তাল হয়ে উঠল ওয়াশিংটন ডিসি। আমেরিকার কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালালেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান ওই বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন।
“Distressed to see news about rioting & violence in Washington DC. Orderly and peaceful transfer of power must continue. The democratic process cannot be allowed to be subverted through unlawful protests,” says Prime Minister Narendra Modi pic.twitter.com/BVlzOouFyo
— ANI (@ANI) January 7, 2021
প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বাজিমাত করার পর জো বিডেনকে জয়ের শংসাপত্র দিতে বুধবার শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। আর তা নিয়েই শুরু হয় ট্রাম সমর্থকদের তাণ্ডব। নির্বাচনে পরাজিত হলেও ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমর্থকদের পথে নেমে এই ‘কারচুপি’ ভরা নির্বাচনের প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ট্রাম্পপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে। আরও কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েক জন সমর্থকও।
পুলিশ সূত্রের খবর, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সেনেটের যৌথ অধিবেশন চলছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের চূড়ান্ত সিলমোহরের বিষয়টি নিয়ে। তখনই কয়েক হাজার ট্রাম্প-সমর্থক ক্যাপিটল বিল্ডিং ঘিরে ফেলেন। জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন তারা। এই ঘটনার পরই গোটা ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় সময় মতে বৃহস্পতিবার সকালে ফের যৌথ অধিবেশন শুরু করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
Disgraceful scenes in U.S. Congress. The United States stands for democracy around the world and it is now vital that there should be a peaceful and orderly transfer of power.
— Boris Johnson (@BorisJohnson) January 6, 2021
এদিকে, এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আবেদন জানান তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে হিংসার ও দাঙ্গার ঘটনায় আমি দুঃখিত। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া উচিত। বেআইনি মিছিলের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদান মেনে নেওয়া যাবে না।” এছাড়া, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করে বলেছেন, “আমেরিকা কংগ্রেসের ইতিহাসে এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।” প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক এবং ঘৃণ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, হিংসার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার ও ফেসবুক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.