সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক দিন আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে মেধা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রাক্তন বারাক ওবামার জমানায় যেমন পারিবারিক সংযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হত, তা থেকে সরে এসে বিদেশি নাগরিকদের আমেরিকায় থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি ডিগ্রিধারী দক্ষ পেশাদারদের। এবার জানা গেল অন্য আরও একটা তথ্য। আমেরিকায় আসার ৩০ দিনের মধ্যে আপনি যদি স্বাস্থ্যবিমা না করান তাহলে মার্কিন মুলুকে আপনার আর থাকা হবে না। শনিবার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তবে অনেকে বলছেন, দপ্তর থেকে ভিসা করার সময় স্বাস্থ্যবিমার দিকটাও দেখা হয়ে থাকে। তবে সব সংস্থার এক নিয়ম নয়।
[ আরও পড়ুন: হোটেলে একই ঘরে থাকতে পারবেন পুরুষ-মহিলা, পর্যটক টানতে নয়া ঘোষণা সৌদি আরবের ]
ট্রাম্পের কথায়, এদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা বেশ খরচসাপেক্ষ। কোনওরকম অসুবিধা এড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ। তাই বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট থাকলেও স্বাস্থ্যবিমাও দরকার। এই মর্মে একটি সরকারি ঘোষণায় শুক্রবার সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওই ঘোষণায় অবশ্য এও জানানো হয়েছে, আমেরিকায় আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারী বা শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। হোয়াইট হাউসের ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বর থেকে আমেরিকায় এই নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। বৈধ ও অবৈধ অভিবাসনের মধ্যে ভেদাভেদ খুঁজে বের করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই আমেরিকার অভিবাসন সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই লক্ষ্যেই এই নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখনকার নিয়মে ৬৬ শতাংশ গ্রিন কার্ড দেওয়া হয় পারিবারিক সংযোগ দেখে। দক্ষতার নিরিখে এখন গ্রিন কার্ড পান ১২ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন এটাই পাল্টাতে চাইছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নীতিকে দেখার কথা প্রথম ভেবেছিলেন ট্রাম্পের জামাই জ্যারেড কুশনার। সেই লক্ষ্যে অভিবাসনের নয়া পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেওয়া হয় সীমান্ত সুরক্ষায়।
[ আরও পড়ুন: হংকংয়ে নিষিদ্ধ মুখোশ, বিতর্ক বাড়িয়ে নয়া পদক্ষেপ প্রশাসক ল্যামের ]
এখন প্রতি বছর ১১ লক্ষ গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। নয়া নীতিতে অর্ধেকেরও বেশি গ্রিন কার্ড দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে শুধু দক্ষতা বা যোগ্যতার ভিত্তিতে। যদি সেটা হয়, তা হলে এইচ ওয়ান বি ভিসায় আসা প্রবাসী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ উপকৃত হবেন। যাঁদের অনেকেই এক দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষা করেও গ্রিন কার্ড হাতে পাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.