সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকার মধ্যে বহুদিন থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল করে WHO-কে দেওয়া অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
President @realDonaldTrump is halting funding of the World Health Organization while a review is conducted to assess WHO’s role in mismanaging the Coronavirus outbreak. pic.twitter.com/jTrEf4WWj0
— The White House (@WhiteHouse) April 14, 2020
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে WHO। এর জন্য তাদের জবাব দিতে হবে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের উৎস চিন, তাই তারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই ওই সংস্থাকে দেওয়া সমস্ত অনুদান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি আমি।” উল্লেখ্য, এককভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) সবচেয়ে বেশি অনুদান দেয় আমেরিকা। গত বছর সংস্থাটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ বা ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জুগিয়েছিল ওয়াশিংটন। ফলে করোনা মহামারির আবহে ট্রাম্পের অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্তে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে চলেছে WHO বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্টনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, “এখন WHO-এর অনুদান বন্ধ করার সময় নয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে মহামারির মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছে চিন ও আমেরিকার টক্কর। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। আর চিনের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। এর আগে একাধিকবার ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, করোনার প্রকোপ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে চিন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের যে সংখ্যা দেখাচ্ছে চিন, তাতে গলদ আছে। আসল তথ্য চেপে গোটা বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে তারা। নিজেদের দেশে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে চিন। সংক্রমণ থেমে যাওয়ার যে দাবি তারা করেছে সেটাও সত্যি নয়। চিনের সঙ্গে মিলে গিয়েছে WHO-ও। চিনের অনৈতিক কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মদত আছে বলে মনে করছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.