Advertisement
Advertisement

Breaking News

করমর্দন করে ঐতিহাসিক বৈঠকের সূচনা, সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিলেন কিম-ট্রাম্প

দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের আশ্বাস ট্রাম্প ও কিমের।

Trump and Kim shake hands before meeting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 12, 2018 9:04 am
  • Updated:June 12, 2018 9:13 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জল্পনার অবসান। অনেক টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত বৈঠক করতে রাজি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। মঙ্গলবার সেই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, কিমের দেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে ভাল সম্পর্কই থাকবে আমেরিকার। দুই দেশের বক্তব্য, তারা শান্তির লক্ষ্যে এগোবে।

সিঙ্গাপুরের সেন্তোসার একটি রিসর্টে মঙ্গলবার ছিল দুই মহারথীর বৈঠক। বহুদিন ধরে নিউক্লিয়ার শক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। কিন্তু বৈঠকের সময় সেই লড়াইয়ের চিহ্নমাত্র দেখা যায়নি। শুরুতে দুই দেশের প্রধান করমর্দন করেন। নেহাত সৌজন্যবশত হতে পারে। কিন্তু এত দ্বন্দ্বের পর দুই দেশের এই সৌহার্দ্য বিনিময় ঐতিহাসিক। এরপর তাঁরা দুই দেশের পতাকার সামনে একসঙ্গে ছবিও তোলেন। এক ঘণ্টারও কম সময় ধরে চলে বৈঠক।

Advertisement

[ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের ]

দুই দেশের প্রধানের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তার মধ্যে প্রধান ছিল পারমাণবিক শক্তি। গত কয়েক মাসে একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার কথা বলেছিল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু আমেরিকা প্রতিবারই বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার এই হুঙ্কার ভিত্তিহীন। এই নিয়ে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি চাপা লড়াই চলছিল। তা থেকে বেরিয়ে আসা নেহাত সহজ ছিল না। কিম নিজেও সেকথা স্বীকার করেছেন। ট্রাম্পও তা সমর্থন করেছেন। বলেছেন, পুরনো সমস্যার কথা তাঁরা ভুলে যেতে চান। তাই আজ  দু’জনে এখানে, একসঙ্গে। “উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এখন সম্পর্ক ভাল, এনিয়ে কোনও দ্বিধা নেই”, বৈঠকের পর একথা বলেন ট্রাম্প। কিমকেও দরাজ সার্টিফিকেট দেন তিনি। বলেন, তাঁরা দু’জনে মিলে বড় সমস্যাগুলির সমাধান করবেন। একসঙ্গে কাজ করবেন।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন ট্রাম্প-কিম ]

উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার এই বৈঠকে ঘটকের কাজ করেছে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়া। দুই দেশের দ্বন্দ্বে শাঁখের করাত দশা হয়েছিল তাদেরই। তাই কিম ও ট্রাম্পকে মুখোমুখি বসানোর দায়িত্বটা তারা প্রায় যেচেই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠকের পর বরফ কতটা গলবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় আন্তর্জাতিক মহল। কারণ হাজার শান্তির বার্তা বৈঠক থেকে উচ্চারিত হলেও সবকিছুর কেন্দ্রে কিন্তু রয়েছে পারমাণবিক শক্তি ও ক্ষমতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement