সুকুমার সরকার, ঢাকা: আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের শুরু হতে চলেছে হত্যা মামলা।
২০১৫ সালের একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি নেত্রী। তবে তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। তারপরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সরকার। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করে শীর্ষ আদালত। ফলে খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চালানোয় আর কোনও বাধা রইল না। আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুনানি শুরু হবে।
[প্রথম শ্রেণির বন্দি হলেও সাধারণ কয়েদির বেশে জেলে খালেদা জিয়া]
এদিন সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল-বোমা নিক্ষেপে খালেদা জিয়া-সহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই হামলায় নিহত হন ৮ যাত্রী। ২০১৭-র ২ মার্চ চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মহম্মদ ইব্রাহিম খালেদা জিয়া-সহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন।
ওই মামলাটি বাতিল করতে গত বছরের ৩ অক্টোবর হাই কোর্টে আবেদন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। ওই আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট ।হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত জোটের অবরোধে ছড়ায় প্রবল হিংসা। ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। কয়েকদিন আগেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
[জেলের এসি ঘরে নমাজ পড়েই দিন কাটছে খালেদা জিয়ার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.