সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ধস নেমেছে আন্টার্কটিকার ‘লার্সেন-সি’ আইস শেল্ফের ‘A-৬৮’ হিমশৈলে। ভেঙে পড়ে তা ক্রমশ মিশে যাচ্ছে ওয়েডেল সাগরে। খুবই পুরু সেই ‘বরফের তাক’। বলা ভালো, বিভিন্ন পুরু তাকের সমাবেশ রয়েছে সেই প্লেটে। ভেঙে পড়া বরফের তাকটির ওজন প্রায় এক লাখ কোটি টন! প্রায় এক কিলোমিটার মতো পুরু সেটি। ফলে দক্ষিণ মেরুতে থাকা বেশ কিছু জাহাজ সমস্যায় পড়েছে।
.@NASA researchers will monitor response of #LarsenC via satellites, airborne surveys, instruments and field work. https://t.co/vssHpUN2Qa pic.twitter.com/K37mr32KX9
— NASA Earth (@NASAEarth) July 12, 2017
চারটে লন্ডন শহরকে জুড়লে যতটা জায়গা হয় ততটাই বিশাল ওই হিমশৈল। আরও পরিষ্কার করে বললে বলা যায় আকারে-আয়তনে ওই হিমশৈলের যা আয়তন, তাতে ৩২টি কলকাতা শহর ঢুকে যাবে অনায়াসে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আস্ত একটা ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো দ্বীপও চলে আসবে ওই হিমশৈলের আয়তনে। কিংবা ইউরোপের ২টো লুক্সেমবার্গ।
Just for fun calc: iceberg will add 0.1mm to sea level as it melts because fresh (no salt). It wld have been 2.8mm if not already floating. pic.twitter.com/eTUTKK9Qdm
— Gavin Schmidt (@ClimateOfGavin) July 12, 2017
উপগ্রহের পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকেই একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করেছিল হিমশৈলটি। মে মাসের শেষে ফাটল বেড়েছিল চোখে পড়ার মতো। জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিটারেরও বেশি হারে ভেঙেছে।‘লার্সেন-সি আইস-শেল্ফ’-এর এই ভাঙা অংশটি গত মাসেও ভাঙতে দেখেছিল নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিভিন্ন উপগ্রহ। সেই মর্মে তথ্যও হাতে পান বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই ভাঙন কিন্তু নয়। ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভের ডিরেক্টর অব সায়েন্সের অধ্যাপক ডেভিড জি ভাওগেনের জানান, ২০০০ সালে একটি হিমশৈল(B-১৫)ভেঙে পড়েছিল। সেটি ভেঙেছিল আন্টার্কটিকার রস আইস শেল্ফ থেকে। আর এখন ভাঙছে ‘A-৬৮’।
তবে যতদিন না বরফ গলছে সমুদ্রতলের তারতম্য হবে না বলেই জানিয়েছেন ভাওগেন। তবে বরফ গললে, সমুদ্রতলের উচ্চতা ভালো মতোই বাড়বে বলে জানাচ্ছেন তারা। আপাতত উত্তরে তুলনামূলক উষ্ণ জলস্রোত বিশিষ্ট সাগরের দিকে এগোচ্ছে আই বিশাল বরফের চাঁই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.