সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দারিদ্রমুক্ত জীবনের টোপ। তাতেই প্রলোভনের ফাঁদে পা দেন অনেকে। বিপদ ওঁত পেতে বসে থাকে সেখানেই। এক পা এগোলেই তাঁদের চালান হয়ে যেতে হয় যৌনপল্লিতে। শুধু তাতেই রেহাই নেই। মাদক খাইয়ে বেঁহুশ করে গায়ের চামড়া তুলে ফেলা হয় সেই অপহৃত মহিলাদের। তারপর সে সব চড়াদামে বিকোয় বিদেশে প্লাস্টিক সার্জারির ইন্ডাস্ট্রিতে। ব্যবহৃত হয় পুরুষাঙ্গ বা স্তন বড় করার কাজে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট হাতে পেয়ে চমকে গিয়েছে নেপাল প্রশাসন। অধিকাংশ নেপালি মেয়েদেরই শিকার হতে হচ্ছে এই নৃশংসতার।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, এক ভারতীয় ওয়েবসাইটেই প্রথম এ খবর ফাঁস হয়। নেপাল ও সংলগ্ন হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা থেকে মহিলাদের যৌনপল্লিতে চালান করে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। কিডনি বিক্রির চক্রও যে রমরমিয়ে চলছে সে খবরও প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু গায়ের চামড়া বিক্রির জন্য মহিলাদের যৌনপল্লিতে চালান করার ঘটনা বেনজির। জানা যাচ্ছে, বিদেশে সাদা ত্বকের বিপুল চাহিদা আছে। তাই টার্গেটে থাকেন নেপালি মহিলারাই। নেপাল থেকে তুলে এই মহিলাদের চালান করা হয় মুম্বইয়ের বিভিন্ন যৌনপল্লিতে। সেখানেই বেঁহুশ করে মহিলাদের শরীরের পিছনের অংশ থেকে ত্বক তুলে নেওয়া হয়। এরপর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে। ভারতের বিভিন্ন ল্যাবেই সেগুলো প্রসেসড করে পাঠিয়ে দেওয়া বিদেশে। প্লাস্টিক সার্জারির দুনিয়ায় বিপুল চাহিদা আছে এই ত্বকের। এরকম ২০ স্কোয়ার ইঞ্চি বা ১৩০ স্কোয়ার সেমি ত্বকের দাম প্রায় ১৫০ ডলার।
খবর প্রকাশ হওয়া মাত্র নড়াচড়া পড়েছে প্রশাসনের উপরমহলে। নেপালের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রীও পুরো ঘটনায় হতবাক। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.