সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের (Pacific Ocean) এক জলমগ্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ধাক্কায় সৃষ্ট সুনামির ভয়াবহ ধাক্কায় বাকি বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে টোঙ্গা (Tonga)। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঢেকে রেখেছে আগ্নেয়গিরির ধূসর-কালো ঘন ছাই আর ধোঁয়া। ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সমুদ্রগর্ভে থাকা যোগাযোগের ফাইবার কেবল। আশঙ্কা, পরিস্থিতির এখনই উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই টোঙ্গা সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে আরও কয়েক দিন, হয়তো কয়েক সপ্তাহ!
গত শনিবারই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে ভয়াবহ ছবি। দেখা যায়, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গর্ভে থাকা হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হোপাই নামে আগ্নেয়গিরি (Tonga volcano eruption) জেগে উঠেছে। এরপরই শুরু হয় অগ্ন্যুৎপাত। এলাকা ভরে যেতে থাকে কালো ছাই ও ধোঁয়ায়। এই লাভা উদগীরণের জেরে আশপাশের সমুদ্রতলে আলোড়ন তৈরি হয়। আর তার ফলেই হয় সুনামি। টোঙ্গা উপকূলে আছড়ে পড়তে থাকে অতিকায় সব ঢেউ। রাতারাতি সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
১৭০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত টোঙ্গা। সব মিলিয়ে জনসংখ্যা ১ লক্ষের মতো। সুনামির ধাক্কায় কেবল ছিঁড়ে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা সম্পূর্ণ বিঘ্নিত। ফলে গোটা বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই নেই টোঙ্গার। এদিকে ছাইয়ের ফলে সংকটে দ্বীপরাষ্ট্রটির জনস্বাস্থ্যও।
এই অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ইতিমধ্যেই এই দেশগুলি থেকে বিমানে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে টোঙ্গার উপরে। প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ছিন্ন কেবল সংযোগ ঠিক করা যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের, তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফিজির সঙ্গে টোঙ্গার সংযোগসাধনকারী ৮২৭ কিমি দীর্ঘ কেবল লাইন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পাপুয়া থেকে একটি বিশেষ জাহাজ পাঠানো হয়েছে। তারাই পরিস্থিতি শোধরাতে কাজ শুরু করবে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলেও ২ সপ্তাহের আগে পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.