Advertisement
Advertisement

হোটেলে উঠবেন না, খরচ বাঁচাতে মার্কিন সফরে অভিনব উদ্যোগ ইমরানের

তাহলে কোথায় থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী, জানেন?

To cut expenses Imran Khan will avoid hotels in US visit
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 8, 2019 4:47 pm
  • Updated:July 8, 2019 4:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের অর্থসংকট কাটাতে ক্ষমতায় এসেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মোষ বিক্রি করেছিলেন তিনি৷ মন্ত্রী-আমলাদের জন্য বরাদ্দ খাবারের পরিমাণে কাটছাঁট করেছিলেন৷ এমনকী, মন্ত্রীদের ফার্স্টক্লাসের বদলে বিজনেস ক্লাসে যাতায়াতেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ এবার বিদেশ সফরে গিয়ে আরও অভিনব পন্থায় অর্থ সঞ্চয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ সূত্রের খবর, আগামী ২১ জুলাই তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়ে কোনও বিলাসবহুল হোটেলে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরান৷ পরিবর্তে ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাক রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সোমবার এমন খবরই জানা গিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে৷ 

[ আরও পড়ুন: মায়ের মতোই টেনিসভক্ত ব্রিটিশ রাজপুত্র জর্জ, টিপস দিচ্ছেন স্বয়ং রজার ফেডেরার ]

Advertisement

ইসলামাবাদ সূত্রে খবর, ওই তিনদিন ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত পাক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের বাসভবন থাকবেন ইমরান খান। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ অন্যান্য মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাবেন সেখান থেকেই৷ যদিও ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও মনক্ষুন্ন ওয়াশিংটনের৷ তাঁদের দাবি, যেকোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মার্কিন সফরে এলে, নিরাপত্তার সমস্ত দায়িত্ব সামলায় আমেরিকার গোয়েন্দা দপ্তর৷ তাঁরাই সেই রাষ্ট্রনেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন৷ এবং প্রশাসন শহর নিয়ন্ত্রণ করে৷ এবার ইমরান খান পাক রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাকলে, সেই ব্যবস্থায় অনেকটাই অসুবিধা হবে বলে অনুমান মার্কিন বিশেষজ্ঞদের৷

[ আরও পড়ুন: ধর্মের আড়ালে সন্ত্রাসের ছোবল, তিউনিসিয়ায় নিষিদ্ধ বোরখা  ]

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান খান৷ যে বৈঠকের দিকে চেয়ে রয়েছে নয়াদিল্লিও৷ ভারতের আশা, এই বৈঠক থেকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তান কড়া বার্তা দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড-সহ অন্যান্যদের সহায়তায় ইতিমধ্যেই জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর যে প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু চিনও৷ এছাড়া গত বছরের জুন মাসেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকাভুক্ত’ করেছিল এফএটিএফ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)। ইমরান প্রশাসন ও পাক সেনাকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এফএটিএফ-এর কড়া বার্তা, আগামী চার মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্ধারিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিণ্ডিকে। না হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে পাকিস্তানকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement