সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু শক্তিতে বলিয়ান দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়েছে একাধিক বার৷ তবে ১৯৬৫-র যুদ্ধই হোক কি ১৯৭১-র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অথবা কার্গিল, জয়ী হয়েছে ভারত৷ তবে পটপরিবর্তন হয়েছে পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের আবির্ভাবে৷ যুদ্ধ শুরু হলে ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ৷ প্রত্যুত্তরে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতও৷ তবে পরমাণু যুদ্ধের ভয়াবহতা ও পরিণাম অবর্ণনীয়৷
উরি হামলা ও তার বদলা নিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার করা সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর, দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ এমনই পরিস্থিতিতে সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য৷ সম্প্রতি আমেরিকার পক্ষ থেকে কিছু গোপনীয় নথি জনসমক্ষে আনা হয়৷ সেই নথিগুলোতে বলা হয়েছে যে, ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন৷ পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারের গতিবিধিকে টেক্কা দিতে এই পন্থা নিয়েছিলেন রাজীব৷ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে থামাতে সেই সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান চেষ্টা করেছিলেন বলেও নথিগুলো থেকে জানা গিয়েছে৷ প্রায় ৯ লক্ষ গোপনীয় নথি জনসমক্ষে আনে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি)৷ ওই নথিগুলো থেকে আশির দশকে ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু গতিবিধির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
সিআইএ-র ওই নথিগুলো থেকে জানা গিয়েছে যে, ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের সামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তির প্রয়োগকে টেক্কা দিতে রাজীব গান্ধী একটি হাইড্রোজেন বোমা বানানোর ও পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন৷ মুম্বইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে ৩৬ জন বিজ্ঞানীর একটি দল এই বোমাটি বানায় বলেও দাবি করা হয়েছে ওই নথিগুলোতে৷ পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ছক কষেও আন্তর্জাতিক এবং রাজনৈতিক চাপে পিছিয়ে গিয়েছিল ভারত বলে দাবি করেছে সিআইএ৷ সেই সময় আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চরমে৷ তাই পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ায় পরম বন্ধু ও ভারতকে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে দেখত ওয়াশিংটন ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.