সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার ইজরায়েলি। গাজা যুদ্ধ ও পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতেই তাঁদের এই বিক্ষোভ। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সকলেই দায়ী করছেন নেতানিয়াহুকে। আট মাস পেরিয়েও গাজায় হামাসের ডেরায় বন্দি রয়েছেন শতাধিক মানুষ। গত মাসে বেশ কয়েকজন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ফলে যতদিন যাচ্ছে ক্ষোভ বাড়ছে ইজরায়েলের অন্দরে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার ইজরায়েলর সবচেয়ে বড় শহরে প্রতিবাদে নামেন হাজার হাজার মানুষ। সকলের মুখেই শোনা যায় নেতানিয়াহু-বিরোধী স্লোগান। তাঁদের মধ্যেই এক বিক্ষোভকারী বলেন, “নেতানিয়াহু যা যা পদক্ষেপ নিয়েছেন তা ইজরায়েলকে ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিয়েছে। ৭ অক্টোবর যা ঘটেছে তাঁর জন্য একমাত্র তিনিই দায়ী।” আবার অনেকের হাতে ঢাকা পোস্টারে দেখা যায়, ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ লেখা। অন্য আরেকজন আবার বলেন, “আমরা এখনই পণবন্দিদের মুক্তি চাই। এখনই মানে এখনই। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারব না।” বলে রাখা ভালো, এখনও হামাসের ডেরায় বন্দি রয়েছেন অন্তত ১১৬ জন।
উল্লেখ্য, সোমবারই ৬ সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। এমনটা যে হবে তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ কয়েকদিন আগেই এই মন্ত্রক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রী বেনি গানৎজ। এই পদক্ষেপের জন্য দুষেছিলেন নেতানিয়াহুকেই। ফলে নিজের দেশেই চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। তীব্র হচ্ছে অন্তর্কলহ।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন করে যুদ্ধকালীন মন্ত্রক তৈরি করার দাবি দিয়েছেন পুরনো মন্ত্রকের সদস্যরা। রয়টার্স সূত্রে খবর, এখন নেতানিয়াহু মন্ত্রীদের নিয়ে একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা করছেন। ওই দলের সদস্যদের সঙ্গে তিনি চলমান গাজা যুদ্ধ নিয়ে শলা-পরামর্শ করবেন। ওই দলে থাকতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার। এঁরা দুজনেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রকের সদস্য ছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে এই মন্ত্রকে কলহ বেড়ে গিয়েছিল, তা সামাল দিতে চাপে পড়েছিলেন নেতানিয়াহু। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এবার নতুন ‘টিম’ গঠন করে গাজা যুদ্ধ নিয়ে রণকৌশল নেবেন নেতানিয়াহু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.