সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি৷ গিয়ে দেখলেন এক অদ্ভুত দৃশ্য৷ অন্তত তা দেখে তিনি চমকেই গিয়েছিলেন৷ দেখলেন, হাসপাতালের একটি ঘরে গর্ভবতী রমণীরা যাচ্ছেন৷ অথচ যখন বেরচ্ছেন তখন আর সন্তানধারণের কোনও চিহ্ন নেই তাঁদের শরীরে৷ দুঃখ পেয়েছিলেন৷ বুঝেছিলেন ওই ঘরেই অবাঞ্চিত সন্তানদের নষ্ট করছেন হবু মায়েরা৷ সমাজের চোখের সামনেই যা হত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ কিন্তু তিনি আর কী করতে পারেন! অবশ্য কিছুই যে করতে পারেন না তা তো নয়৷ আর তাই ভিয়েতনামের টং ফুওক ফুক যা করলেন তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো৷
পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি৷ সঞ্চিত অর্থ দিয়ে তিনি একটি জমি কিনেছিলেন৷ সেখানে অবাঞ্চিত বাচ্চাদের সমাধির ব্যবস্থা করেছিলেন৷ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, এই সমাধিক্ষেত্র দেখে ভবিষ্যতে অন্তত কেউ গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যাতে দু’বার ভাবেন৷ কিন্তু সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়৷ কেউ কেউ গর্ভপাত করতে না চাইলেও পরিস্থিতি এমন হয় যে না করিয়ে উপায় থাকে না৷ এরকম বেশ কিছু মহিলার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর অন্য একটি সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ অবাঞ্ছিত এই সন্তানদের তিনি আপন করে নেন৷ তাঁদের পালন করা শুরু করেন তিনি৷
তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৫ বছর৷ এখন একরকম অনাথ আশ্রম হয়ে উঠেছে তাঁর আবাস৷ প্রায় ১০০ জন অনাথ তাঁর স্নেহে বড় হয়ে উঠছে৷ তাতে কি গর্ভপাতের রেওয়াজ কমেছে? টং ফুওক ফুক জানান, অন্তত ১০০ টি হলেও গর্ভপাত তো তিনি কমাতে পেরেছেন৷ তাঁর এই প্রচেষ্টাকে তাই কুর্নিশ না জানিয়ে পারছে না গোটা বিশ্ব৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.