Advertisement
Advertisement

কীভাবে খতম ইরানি জেনারেল সোলেমানি, রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ট্রাম্প

'১০, ৯, ৮....। তারপরই জোরাল একটা শব্দ-- বুম।'

'They have one minute to live, sir': Trump recounts Soleimani assassination
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 20, 2020 11:21 am
  • Updated:January 20, 2020 11:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘১০, ৯, ৮….। তারপরই জোরাল একটা শব্দ- বুম।রেডিওর ওপার থেকে ভেসে এল বার্তা– ওরা খতম।’ এভাবেই ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানির হত্যার বর্ণনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে খবর, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে নির্বাচনী প্রচারে অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিল রিপাবলিকান পার্টি। সেখানে ট্রাম্প জানান,  কীভাবে কাডস ফোর্স-এর কমান্ডার সোলেমানিকে হত্যা করেছিল মার্কিন ফৌজ। তিনি জানান, আমেরিকায় বসে সে দিন পুরো ঘটনার উপরে তিনি নজর রেখেছিলেন। সিএনএন-এর একটি অডিয়ো ক্লিপিংয়ে ট্রাম্পকে সোলেমানিকে হত্যার কারণও  ব্যাখ্যা করতে শোনা গিয়েছে।

Advertisement

ওই অডিওয় ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আমাকে ময়দানের সব গতিবিধিই জানিয়েছিল পেন্টাগন। সেইমতো ল‌্যাপটপ ও কনফারেন্স রুমের জায়ান্ট স্ক্রিনের  সামনে বসে যাই। সেনা অফিসাররা আমাকে বললেন, ওরা একসঙ্গে আছে।  বাঁচার জন‌্য ওদের হাতে আর ২ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় আছে। ওরা সাঁজোয়া গাড়ির কনভয়ে আছে। বাঁচার জন্য এদের হাতে রয়েছে আর এক মিনিট। আমরা কাউন্ট ডাউন শুরু করছি। বাকি আছে, ৩০ সেকেন্ড…। এরপর সেনা অফিসাররা গুনতে থাকে ১০, ৯, ৮,৭, ৬…২,১..।’ তারপর বুম…। ওরা বলল, শেষ স্যার।  সব ক’টা খতম। সংযোগ কাটছি।”   

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মোল্লাতন্ত্র নিপাত যাক’, সর্বশক্তিমান খামেনেইর বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ইরানি জনতা]

এদিকে, সোলেমানিকে হত্যার কারণও বাখ্যা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, শুধু আমেরিকার বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা মনের মধ্যে পুষে রাখতেন সোলেমানি। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে ব‌্যাখ‌্যা করতেন সেগুলি। আমেরিকার ধ্বংস ও আমেরিকানদের মৃত‌্যু কামনা করতেন সোলেমানি।  নিত‌্যনতুন আজেবাজে কথা বলতেন আমেরিকার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে বার বার আমেরিকার বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিতেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার বিভিন্ন পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্রিয় হয়ে উঠছিলেন। মধ‌্যপ্রাচ্যে  আমেরিকার স্বার্থবাহী যে কোনও পরিকাঠামো ধ্বংস করতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁকে আর সহ‌্য করা যাচ্ছিল না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ কবে কে বড় ক্ষয়ক্ষতি করবে এটার অপেক্ষায় আমেরিকা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ