সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে যেভাবে ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর করতে চাইছেন, তাতে আপত্তি রয়েছে তাঁর দলেরই এমপিদের। অনেক আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাতে কান না দেওয়ায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন রক্ষণশীল দলের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু বুধবার রাতে ওই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে জিতে যান মে। তাঁর বিরুদ্ধে ১১৭টি ভোট পড়ে। কিন্তু তাঁর দলের ২০০ জন এমপি তাঁকে সমর্থন করেছেন। ফলে আগামী এক বছরের জন্য নিশ্চিত মে’র প্রধানমন্ত্রিত্ব। এই সময়ের মধ্য়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হবে। তবে আস্থা ভোটের আগে মে জানিয়েছেন, তিনি আর ভোটে লড়তে চান না।
কনজারভেটিভ পার্টির তথাকথিত ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানিয়েছেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পার্লামেন্টে দলের এমপিদের ১৫ শতাংশ চাইলে এই ভোটাভুটির আয়োজন করতে হয়। হাউস অফ কমনসের রক্ষণশীল দলের প্রতিনিধি এই কমিটি। ৪৮ জন এমপি এবার ওই ভোটাভুটি চেয়েছেন। যার জেরে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় টেরেসা মে-কে। বুধবার রাতেই হাউস অফ কমনসে ভোটাভুটির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ২০১৬-য় ব্রিটিশ জনতা ব্রেক্সিটের পক্ষে গণভোটে রায় দেওয়ার পরই টেরেসা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর খসড়া চুক্তি নিয়ে রক্ষণশীল দলেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাঁর দলের ৩১৭ জন এমপি-র মধ্যে অন্তত ১৫৮ জনের সমর্থন তাঁকে নিশ্চিত করতে হত। না হলে পরাজয় হত। কিন্তু তিনি ২০০ জনের সমর্থন আদায় করেছেন। যদিও ১১৭ জনের বিরোধিতা কম কথা নয়।
[ব্রেক্সিট খসড়া ঘোষণাপত্রে ঐক্য, আপাতত স্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী মে]
মঙ্গলবারই ব্রেক্সিট বিল নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট দেওয়ার কথা ছিল এমপিদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টেরেসা ভোট স্থগিত করে দেন। প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা। সমালোচনা করেন টেরেসার দলেরও একটা বড় অংশ। কিন্তু বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যেও এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে তারা যে চুক্তি তৈরি করেছে, তা থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার খেসারত ব্রিটেনকে ইতিমধ্যেই দিতে হয়েছে। তার জেরে এখন ব্রিটেনে এই দাবি জোরদার হয়ে উঠেছে যে, ফের ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে গণভোট নেওয়া হোক। আপাতত ব্রেক্সিট বহাল রইল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.