Advertisement
Advertisement
ব্রেক্সিট

ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ করাতে মরিয়া মে, প্রয়োজনে পদত্যাগেও রাজি

ফের গণভোটের প্রস্তাব খারিজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।

Theresa May suggests she will resign if Brexit deal passes
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 28, 2019 9:56 am
  • Updated:March 28, 2019 9:56 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-এর আনা ব্রেক্সিট চুক্তি দু’দুবার খারিজ করে দিয়েছে হাউস অব কমন্স। চুক্তি পাস করাতে মরিয়া টেরেসা এবার জানিয়ে দিলেন, ব্রিটেনের পার্লামেন্ট চুক্তিটি পাস করে দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে রাজি।

[আরও পড়ুন: মেক্সিকো সীমান্ত প্রাচীর গড়তে অর্থ বরাদ্দ করল পেন্টাগন]

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, কনজারভেটিভ পার্টির আইনসভার সদস্যদের শক্তিশালী লবি ১৯২২ কমিটির বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন টেরেসা। তিনি জানিয়েছেন, দেশ ও দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই তাঁর কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য দরকার পড়লে মেয়াদের আগেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে আপত্তি নেই তাঁর। লন্ডনের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কনজারভেটিভ দলের একটা অংশ চান না যে ব্রেক্সিটের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পরবর্তী দফার আলোচনার নেতৃত্ব দিন টেরেসা। তাঁদের দাবি টেরেসার বদলে নতুন কেউ ওই দায়িত্ব নিক। সেক্ষেত্রে টেরেসা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হলে তাঁরা বিতর্কিত ব্রেক্সিট চুক্তিটিকে পার্লামেন্টে পাশ করাতে সাহায্য করতে পারেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাশ করাতে অন্তত ৭৫ জন সদস্যের সমর্থন দরকার টেরেসার। ইতিমধ্যেই কনজারভেটিভ দলের অন্তত ৪০ জন আইনসভার সদস্য টেরেসার বিতর্কিত ব্রেক্সিট চুক্তিটিকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু ওই দলের আরও অন্তত ৪০ জন সমর্থক এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। টেরেসার পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশের পর এঁদের অনেকেই চুক্তির সমর্থনে ভোট দিতে পারেন বলে মনে করেছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে ব্রেক্সিট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ফের গণভোট করুক ব্রিটেন। কিন্তু বুধবার ফের গণভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে এদিন ব্রেক্সিট সেক্রেটারি স্টিফেন বার্কলে বলেন, “ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্ট দিশাহীন। ফলে এটা স্পষ্ট যে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। কোনও সহজ পদ্ধতিতে এর সমাধান সম্ভব নয়। এখনও পর্যন্ত মে যে চুক্তির খসড়া দিয়েছেন এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না।” তবে তাঁর বক্তব্যে তেমন খুশি নন কনজারভেটিভ পার্টির ‘বিদ্রোহী’রা। তাঁদের একাংশের সাফ দাবি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই পদ খোয়াতে পারেন মে। তাঁর জায়গায় দলের মধ্যে থেকেই অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে আনা হবে। এর ফলে মেয়াদের আগে ফের নির্বাচনের প্রয়োজন নেই।   

[আরও পড়ুন: হংকংয়ে স্নোডেনকে আশ্রয় দিয়ে মার্কিন রোষে মহিলা, ঠাঁই পেলেন কানাডায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement