সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ChAdOx1, নাকি ভারতের COVAXIN অথবা রাশিয়ার তৈরি করোনা ‘প্রতিষেধক’ – মহামারী প্রতিরোধের অব্যর্থ হিসেবে শুধু এই কয়েকটি নামই ঘোরাফেরা করছে আলোচনার বৃত্তে। এদের সকলেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, শুধু গুটি কয়েক নয়, চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে আরও অনেকগুলো করোনা প্রতিষেধক। হয়ত শিগগিরই এদের মধ্যে একটি উপযোগী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু তারপরও সংশয়ের একটা আবহ থাকছে WHO’র তরফেই। ডিরেক্টর টেডরোজ ঘেব্রিয়েসুসের কথা সংশয়ের সুর। তিনি বলছেন, অব্যর্থ দাওয়াই আবিষ্কার করা কখনও সম্ভব না-ই হতে পারে।
সোমবার WHO ডিরেক্টর টেডরোজ ঘেব্রিয়েসুস বলেন, “বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ফেজ – থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। সংক্রমণ রোধে তা উপযোগী হয়ে উঠবে হয়ত। তবে এই মুহূর্তে করোনা প্রতিরোধের অব্যর্থ দাওয়াই নেই, তা কখনও না-ই আবিষ্কার হতে পারে।” জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে ভারচুয়াল বক্তব্য় রাখতে গিয়ে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, সামাজিক দূরত্ব পালন, মাস্ক পরা-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবার থেকে চিরস্থায়ী হতে চলেছে বিশ্ববাসীর দৈনন্দিন জীবনে। সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে এসবই ঢাল হতে পারে। আগেও WHO ডিরেক্টর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, করোনা ভাইরাস আগামী কয়েক দশক এভাবেই থাবা বসাতে পারে। এবার প্রতিষেধক নিয়ে তাঁর বক্তব্য বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।
এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত ১৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ। প্রাণহানি হয়েছে প্রায় সাত লক্ষের। কয়েকটি দেশ করোনার কামড়ে বিধ্বস্ত। আমেরিকার পরিস্থিতি সবচেয়ে সঙ্গীন, তার পিছনেই রয়েছে ব্রাজিল। ভারতের অবস্থাও ক্রমশই সংকটজনক হয়ে উঠছে। আনলক থ্রি’তেও সংক্রমণ বেলাগাম। আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের তৃতীয় স্থানে ভারত। এই অবস্থায় সকলেরই লক্ষ্য, দ্রুত বাজারে করোনা প্রতিষেধক আনা আমজনতার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.