Advertisement
Advertisement

মার্কিন সেনার প্রত্যাঘাত, চরম সংকটে পাকিস্তান

কঠোর নির্দেশিকা জারি পেন্টাগনের৷৷

The United States military has decided to cancel the financial aid worth 300 million USD to Pakistan
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 2, 2018 4:52 pm
  • Updated:September 2, 2018 4:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন স্টেট সচিব মাইক পম্পেও-র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের সাক্ষাতের আগেই বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান৷ ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের৷ জঙ্গি দমনে পুরোপুরি ব্যর্থ পাকিস্তান এবং দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য৷ এই অভিযোগে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করল পেন্টাগন৷ বাতিল করা হল ৩০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক অনুদান৷

[মিসাইল হানা ইজরায়েলের? মধ্যরাতে সিরিয়ার বায়ুসেনাঘাঁটিতে ফের বিস্ফোরণ]

Advertisement

শনিবার এই নির্দেশিকা জারি করে পেন্টাগন৷ মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোনে ফকনার জানান, দিনের পর দিন আমেরিকার থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছে পাকিস্তান৷ বিভিন্ন খাতে তাদের উন্নয়নের জন্য প্রচুর ডলার নষ্ট করেছে মার্কিন প্রশাসন৷ পরিবর্তে সতেরো বছর ধরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইসলামাবাদ এবং সাহায্য করে গিয়েছে তালিবান, আল-কায়দা ও হাক্কানি নেটওয়ার্ককে৷ ফলে এই কারণেই আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করা হচ্ছে এবং সেই অর্থ অন্য খাতে ব্যবহার করা হবে৷

জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান তথা সেদেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে এই অভিযোগ করে আসছে ভারত৷ নয়াদিল্লিকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকাও৷ সরব হয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই ইস্যুতে আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতার রাস্তা বন্ধ করেছেন ট্রাম্প৷ বাড়তি খরচ হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে পাক সেনাকে শিক্ষাগত প্রশিক্ষণ ও সামরিক প্রশিক্ষণ বন্ধ করা হয়েছে৷ এবার পাকাপাকি ভাবে অর্থ সাহায্যও বন্ধ হলে৷ উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম খাতে, পাকিস্তানের জন্য গত পনেরো বছরে আমেরিকা খরচ করেছে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এর পুরোটাই নষ্ট হয়েছে বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিভিন্ন মার্কিন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, এই আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে জঙ্গি দমনে ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল ইসলামাবাদের৷ কিন্তু এই কাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সেই দেশ৷ তাঁদের দাবি, সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ তো দূর বরং থাক, নিজেদের দেশকে সন্ত্রাসীদের চারণভূমিতে পরিণত করেছে পাকিস্তান৷ ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন তাঁরা৷

[ধর্ষণের জন্য দায়ী মহিলাদের সৌন্দর্য! কুরুচিকর মন্তব্যে বিতর্কে ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট]

কেবল এই একটা কারণেই এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? এই যুক্তি মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক মহল৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে কাজ করছে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সখ্যতা৷ প্রসঙ্গত, একদিকে বেজিং-এর সঙ্গে যৌথভাবে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করছে ইসলামাবাদ ও বেজিং৷ তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক৷ অন্যদিকে, তাঁদের কায়দায় পাক সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রাওয়ালপিণ্ডির সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে মস্কো৷ রুশ সেনার মিলিটারি ট্রেনিং স্কুলেই হবে সেই প্রশিক্ষণ৷ যা অনেকটাই অবাক করেছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement