Advertisement
Advertisement

Breaking News

Whale

নরওয়েতে মৃত রুশ ‘গুপ্তচর’ তিমি, অবশেষে সমাধান হল রহস্যের

গত ৩১ আগস্ট হলদিমির নামে তিমিটির দেহ উদ্ধার হয়।

The mystery of Russia’s ‘Spy Whale’ revealed
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 15, 2024 6:57 pm
  • Updated:November 15, 2024 6:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট। ওজন ১২০০ কেজি। ২০১৯ সালে প্রথমবার তার কথা জেনেছিল বিশ্ব। গত ৩১ আগস্ট হলদিমির নামে সেই ‘গুপ্তচর’ তিমির দেহ উদ্ধার হয় নরওয়েতে। তার পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। অবশেষে সমাধান হল সেই রহস্যের।

সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করল বিবিসি। ‘সিক্রেটস অফ দ্য স্পাই হোয়েল’ নামের সেই তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, হলদিমির নামের তিমিটি ‘গুপ্তচর’ নয়। সেটি আসলে পাহারাদারের কাজ করত। ব্লেয়ার আর্ভিন নামে এক সমুদ্র বিশেষজ্ঞর বিবৃতিও নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে ডলফিনের মতো জলচরদের প্রশিক্ষণ দেয় সেনা। সোভিয়েত ইউনিয়ন (আজকের রাশিয়া) ডলফিনদের ব্যবহার করা হয় কৃষ্ণসাগরে পাহারার কাজে। মনে করা হচ্ছে, এই তিমিটিকেও সেই কাজেই ব্যবহার করা হত। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান উপকূলের পাশাপাশি সুইডেনের উপকূলেও জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে হলদিমিরকে। গত বছর তাকে বাণিজ্যিক ও বিপজ্জনক জলেও সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, আকস্মিক মৃত্যুর আগে তার শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না।

Advertisement

কীভাবে মারা গেল তিমিটি? বলা হচ্ছিল, বিতর্কে রাশ টানতেই রুশ সেনা গুলি করে মেরেছে হলদিমিরকে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার, এমন কিছু হয়নি। দেখা যাচ্ছে, মুখে একটি লাঠি আটকেই মৃত্যু হয়েছে প্রাণীটির।

ওই বেলুগা তিমিটিকে কেন ‘গুপ্তচর’ ভাবা হয়? বছর পাঁচেক আগে যখন সে প্রকাশ্যে এসেছিল তখনই দেখা যায় তার গলায় বাঁধা রয়েছে একটি বেল্টের মতো যন্ত্র। তাতে সেন্ট পিটার্সবার্গের নাম ছিল বলেই দাবি। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল রুশ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে এই তিমিকে। যদিও রাশিয়া এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কেন তার এমন নাম? আসলে নরওয়ের ‘হল’ ও রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’- এই দুই শব্দ মিলেই তার এমন নাম। পুতিনের সঙ্গে মিলিয়েই ওই ‘ভ্লাদিমির’ শব্দটি তার নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement