Advertisement
Advertisement

Breaking News

ব্রেন্ডন

ক্রাইস্টচার্চ ঘাতকের মানসিক পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের, বিচারে দেরিতে ক্ষুব্ধ জনতা

১৪ জুনের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে৷

The judge orders mental health test for Christchurch shooter
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 5, 2019 8:43 pm
  • Updated:April 5, 2019 8:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার মতো সুস্থ? নাকি মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটেছে? তা জানতে নিউজিল্যান্ড গণহত্যার খলনায়ক ব্রেন্ডন ট্যারান্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে৷ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক৷ যদি পরীক্ষায় পাশ করে ঘাতক, তা হলেই তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে৷

গত ১৫ মার্চ৷ ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে বন্দুক নিয়ে ঢুকে গণহত্যা চালায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেন্ডন ট্যারান্ট৷ নিহত হন শিশু, মহিলা-সহ ৫০ জন৷ প্রবল ইসলাম বিদ্বেষ থেকে সে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিজেই স্বীকার করেছিল ঘাতক৷ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশের সময়েও চোখেমুখে হিংসার ছায়া ছিল প্রকট৷ এরপর কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে নিয়মিত শুনানির সময়েও ট্যারান্ট ছিল নির্বিকার৷ এসব দেখেই বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার ঘাতকের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলেন৷

Advertisement

                                     [ আরও পড়ুন : সত্যি কি ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান? মার্কিন রিপোর্ট ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]

শুক্রবার সকালে ফের শুনানির সময় বিচারক তাঁকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি প্রশ্ন করেন৷ কিন্তু ট্যারান্ট নিরুত্তর ছিল৷ এমনকী শরীরী ভাষাতেও নির্বিকার ভাব ছিল৷ এরপরই বিচারক বলেন, অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হোক৷ আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়ে বিচারক জানান, এই সময়ের মধ্যেই ট্যারান্টের মানসিক পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে৷ ১৪ জুন ফের শুনানি৷ এদিন শুনানিতে আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিহতদের পরিবারের মানুষজন৷ তাঁদের মধ্যে ওমর নবি হারিয়েছেন বাবাকে৷ তিনি বললেন, ‘আমরা চাই না, ওর মৃত্যুদণ্ড হোক৷ চাই, ও এভাবে কারাবন্দি হয়েই সারা জীবন কাটাক৷’ হামলা থেকে বেঁচে ফেরা আরেক বাসিন্দা তোফাজল আলমের কথায়, ‘প্রতি শুক্রবার মসজিদে একসঙ্গে অনেককে দেখতে পেতাম৷ ওই একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করতাম৷ কিন্তু হামলার পর থেকে ৫০ জন বন্ধুকে আর দেখতে পাই না৷ এই আক্ষেপ ভোলার নয়৷ আমি চাই, হত্যার মতো গুরুতর ঘটনার জন্য যতটা কড়া শাস্তি হয়, ততটাই হোক৷’

                                        [ আরও পড়ুন : বিলুপ্তির মুখে সমুদ্রতলের প্রবাল প্রাচীর, গ্রেট বেরিয়ার রিফের ৯০% নষ্ট]

তবে, যে পদ্ধতিতে গণহত্যাকারীর বিচার প্রক্রিয়া চলছে, তাতে কিছুটা ক্ষুণ্ণ ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দারা৷ তাঁদের মতে, কোনওরকম সহানুভূতি ছাড়া দ্রুতই ট্যারান্টের বিচার হোক৷ কিন্তু নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, প্রত্যেকের মানবাধিকার রক্ষা করা উচিৎ৷ যদিও সত্যিই ট্যারান্ট মানসিকভাবে অসুস্থ হয়, তাহলে তাকে সুস্থ করে তবে শুরু হবে চূড়ান্ত বিচার৷     

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement