সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে ঋণ পেতে মিথ্যাচার পাকিস্তানের? ঘটনাপ্রবাহ সেকথাই বলছে। পাকিস্তান দাবি করছে, ঋণ দেওয়ার জন্য IMF যা যা শর্ত দিয়েছিল, সব তারা মেনে নিয়েছে। আবার আইএমএফ বলছে, পাকিস্তানের এই দাবি ভুয়ো। এখনও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা বাকি।
দেনায় জর্জ্জরিত পাকিস্তান (Pakistan)। ঋণমুক্ত হতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। এই মুহূর্তে আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা IMF। গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এ বছর এখনও আইএমএফের তরফে পুরো বরাদ্দ আসেনি। আসলে টাকা দিতে ইসলামাবাদের উপর বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। যে শর্ত এখনও পূরণ করতে পারেনি পাক দল।
বস্তুত, চলতি আর্থিক বছরের ঋণ মেটাতে আরও অন্তত ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন পাকিস্তানের। এর মধ্যে একটা বড় অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব এবং চিন। এখনও অন্তত ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত জোগাড় করতে হবে পাকিস্তানকে। শাহবাজ শরিফ সরকার সেই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আইএমএফের এই ঋণের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া উচিত আইএমএফের। কারণ ঋণ দেওয়ার জন্য যে যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি পাকিস্তান পূরণ করে ফেলেছে। কিন্তু আইএমএফের তরফে পালটা দাবি, এখনও অনেক শর্তই পূরণ হয়নি। তাই এখনই ঋণের বাকি টাকা মেটানো সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের এই অবস্থান আরও চাপে ফেলল পাকিস্তানকে।
উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। বেহাল দশা আমজনতার। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.