ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। রোগের সংক্রমণ কেন্দ্র চিনেই এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬১ জন। কিন্তু এই রোগ সারানোর উপায় কী? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না খোদ চিকিৎসকরাও। চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষার ফল নাকি হাতেনাতে পেয়েছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকেরা। তাদের আবিষ্কৃত সেই ওষুধে ইতিমধ্যে তিন রোগীকে সারিয়েও তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু কী সেই উপায়?
থাইল্যান্ডের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, HIV এবং সাধারণ সর্দির সারানোর ওষুধের ককটেলই করোনার অব্যর্থ দাওয়াই। থাইল্যান্ডের ব্যংককের রাজাভীতি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শারীরিক অবস্থার বিশাল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউহান প্রদেশে এক ৭০ বছরের মহিলার দেহে করোনার জীবাণু মিলেছিল। তিনি ব্যংককের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই ককটেল ওষুধটি খাওয়াতেই ১০দিনের মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসকেরা। এ প্রসঙ্গে রাজাভীতি হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ক্রিয়াংস্কা আতিপনওয়াইনচ বলেন, “আমরা এখনই বলছি না, এটাই করোনা সংক্রমণ রোখার একমাত্র উপায়। কিন্তু এই ওষুধ প্রয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রামিত রোগীদের দেহে ভাইরাস আর থাকছে না। ১০ দিনের মধ্যে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে।” আরও এক চিকিৎসক দুজন রোগীর উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন। চিনা প্রশাসন ইতিমধ্যে এই ককটেল ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর।
এদিকে করোনায় আক্রান্তদের উপর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না জানিয়ে দিয়েথে হু (WHO)। অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না, কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।” তারা আরও জানায়, এটিও যেহেতু ভাইরাস, তাই অ্যান্টি বায়োটিক এর মোকাবিলা করতে সক্ষম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, বয়্স্ক মানুষদের অ্যাজমা, মধুমেহ কিংবা হৃদরোগের মতো অসুখ থাকলে তাঁদের এই ভাইরাসের প্রকোপে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পোষ্য কুকুর-বিড়ালের থেকে এই অসুখ ছড়াচ্ছে বলেও গুজব ছড়িয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ‘হু’ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে পোষ্যকে স্পর্শ করার পর হাত সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হু-এর তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.