সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে জিনপিং প্রশাসনের আগ্রাসনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডে আটকে পড়া ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চিনে ফেরত পাঠানো হল। যদিও মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, বেজিংয়ে ফিরে গেলে ওই মুসলিমদের পড়তে হবে নিগ্রহের মুখে। তবুও থাইল্যান্ড প্রশাসন তাঁদের ফেরত পাঠাচ্ছে। যা নিয়ে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে।
২০১৪ সালে চিন থেকে ৩০০ জন উইঘুর মুসলিম পালিয়ে থাইল্যান্ডে আসেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল সেখান থেকে তুরস্কে যাওয়ার। প্রসঙ্গত, তুরস্কে উইঘুর সম্প্রদায়ের অনেকেই থাকেন। কিন্তু সেখানে যাওয়া আর হয়নি আটকে উইঘুরদের। তাঁরা ব্যাংককে আটক হওয়ার পর সেখানেই বন্দি রয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে থেকেই ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে চিনে। গত মাসেই অনশনে বসেছিলেন ওই উইঘুর মুসলিমরা। তাঁদের দাবি ছিল, ফের চিনে গেলে তাঁদের দীর্ঘদিনের কারাবাস ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছটি ট্রাকে করে ওই উইঘুর মুসলিমদের চিনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
চিনে উইঘুরদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে সমালোচনা আজকের নয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাপ্ত রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ড থেকে উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.