সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ দিনের প্রতীক্ষার অবসান৷ টানা তিনদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রাণপণ চেষ্টার পর থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধার করা হল আটকে পড়া ফুটবল দলের প্রত্যেক সদস্যকে৷ গত দু’দিনে চারজন করে মোট আট জনকে উদ্ধার করেছিল নৌসেনা৷ মঙ্গলবার ছিল উদ্ধারকার্যের তৃতীয় দিন৷ শেষদিন, বাকি চার ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর৷
[OMG! বর-কনের মাথায় পড়ল গাছের ডাল, কী হল তারপর?]
সম্পূর্ণ উদ্ধার অভিযানের ভিডিও তাদের ফেসবুক পেজে তুলে দেওয়া হয়েছে থাই নেভি সিলের পক্ষ থেকে৷ জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মতো মঙ্গলবারও স্থানীয় সময় সকাল দশটা নাগাদ গুহায় প্রদেশ করেন ১৯ জন উদ্ধারকারী৷ তাঁদের সঙ্গে ছিল অক্সিজেন ট্যাঙ্ক৷ এছাড়া, উদ্ধারকাজে ব্যবহার হচ্ছিল একটি বিশেষ সাবমেরিন। তা এদিনও ছিল উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে৷ গত দু’দিনে চারজন করে মোট আটজন ফুটবলারকে উদ্ধার করেছিল থাইল্যান্ডের নৌসেনা। উদ্ধারকাজে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তাই গুহার সামনেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুল্যান্সের। প্রথম দু’দিনের মতো বুধবারও উদ্ধার হওয়া পরেই কোচ ও ফুটবলারদের হেলিকপ্টারে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর৷ সেখানে প্রত্যেকর জন্যই আলাদাভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
[রোহিঙ্গা শিবিরে মারণ হানা ডিপথেরিয়ার, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
গত ২৩ জুন ফুটবল প্র্যাকটিসের পর চিয়াঙ্গ রাই প্রদেশের থাম লুঙ্গ গুহায় কোচের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেছিল ১২ জনের এই ফুটবল দলটি৷ কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেখানেই আটকে পড়ে তারা৷ যেতে থাকে গুহার আরও গভীরে৷ খারাপ আবহাওয়ায় বৃষ্টির জন্য উলটো দিকে বাড়তে থাকে গুহার ভিতরের জলস্তর৷ অত্যন্ত কষ্টের মধ্যেই প্রায় দু’সপ্তাহ পরে জীবিত থাকতে দেখা যায় দলটিকে৷ গুহার বাইরে তাঁদের খেলার সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয়৷ সেই সূত্র ধরেই দলটির খোঁজ মেলে গুহার অত্যন্ত গভীরে৷ এরপরেই উদ্ধারকার্যে নামে থাই নেভি সিল টিম৷ কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে বাড়তে থাকে গুহার ভিতরের জলস্তর৷ এমনকি অক্সিজেনও কম থাকায়, কৃত্রিমভাবে গুহার ভিতরে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাই প্রশাসন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.