সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। স্বাদে ভরা এই উৎসব প্রত্যেক বঙ্গসন্তানের কাছে অতি প্রিয়। তাই এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণ একখণ্ড গ্রামে পরিণত হয়েছে। পিঠে-পুলি, গ্রাম্য নাচে নতুন ফসল ওঠার উৎসব ‘পোষলা’ বসেছে। তবে সেই আনন্দ উৎসব ম্লান করে ঘনিয়ে উঠেছে জঙ্গি হানার আশংকা। মেলায় ভয়াবহ নাশকতা ঘটাতে পারে ইসলামিক জঙ্গিরা। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
[মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে নারী, মৌলবাদীদের রোষে শিল্পী]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের পৌষমেলা। শীতের মরশুমে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাটিসাপটা, তালবড়া, বিবিখানা, মেন্ডা, মোরা, ঝিনুক, দুধ চিতই, জামাই পিঠে, বউ পিঠে, ভাপা পিঠে, সিদ্ধ পুলি, পাকন, খেজুর পিঠে, মালপোয়া, পায়েস ও ফিন্নি হচ্ছে এই মেলার প্রধান আকর্ষণ। গত ১৯ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। শুক্রবার এই মেলার উদ্বোধন করেন বিদ্বজ্জন কামাল লোহানি। পাঠ করা হয় সুকান্ত ভট্টাচার্যের শীতের কবিতা ‘হে শীতের সূর্য’। এদিন কামাল লোহানি বলেন, “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বারেবারে বাংলার প্রতিরোধের হাতিয়ার হয়েছে, এ পৌষমেলা তারই অংশ। চারপাশে যখন সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে গিয়েছে তখন এই পৌষমেলার মাধ্যমে আমরা সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। মানুষ হত্যাকারী পশুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আমাদের বঙ্গ সংস্কৃতির উৎসবগুলোর চর্চা বাড়াতে হবে।”
সদ্য মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে নারীর মূর্তি নিয়ে বিতর্ক বেধেছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায়। পাকিস্তানি দখলদারদের হটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন বহু মহিলা মুক্তিযোদ্ধারাও। তবে তাঁদের ত্যাগ ও বলিদানকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ মৌলবাদীরা। এবার মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে নারীর মূর্তি নিয়ে বিরোধিতায় সরব তারা। এমনই পরিস্থিতিতে বাড়িয়ে তোলা হয়েছে পৌষ মেলার সুরক্ষা।
[OBOR প্রকল্পে নয়া বাধা আইএস জঙ্গিরা, প্রবল বেকায়দায় বেজিং]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.